গরমকালে অনেকেই টকদই খান। বিশেষ করে সারা ওজন কমাতে চান তাঁরা সারাবছরই টকদই খেয়ে থাকেন। পুষ্টির শেষ নেই টকদইয়ের।
প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই দিয়ে দিন শুরু করলে হজম প্রক্রিয়ায় ভারসাম্য রাখতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে৷
যাঁরা পেট ফোলা বা ডায়রিয়ার সমস্যায় ভুগছেন তারা সকালে দই খেতে পারেন। এতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা মেটে।
যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাঁদের জন্য টক দই একটি দুর্দান্ত বিকল্প। এতে উপস্থিত উচ্চ প্রোটিন উপাদান দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখে।
যার ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। এভাবে দই ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। টকদইয়ের সঙ্গে শসা মিশিয়ে খেলে আরও ভাল ফল পাবেন।
টক দই রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। সেই সঙ্গে অন্ত্র সুরক্ষিত রাখে। দইয়ে থাকা বিভিন্ন খনিজ যেমন ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়ামের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
মজবুত হাড় গঠনে টক দই খুবই উপকারী। এক কাপ দইয়ে ২৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ দই খেলে তা হাড় মজবুত রাখতে ভূমিকা রাখে।
ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবেও কাজ করে দই। পাশাপাশি শরীরকে ঠান্ডা রাখে। তাই গরমে রোজ এক বাটি টকদই কিন্তু খেতেই হবে।