নিমপাতার গুণাগুণ নিয়ে বিভিন্ন সময়েই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আলোচনা হয়েছে। ঘরোয়া পথ্য হিসাবে নিমপাতার গুণের জবাব নেই। বলা হয়, বহু জটিল রোগকে দূরে রাখতে যেমন নিমপাতা সাহায্য করে, তেমনই শরীরে বহু জ্বালা যন্ত্রণা থেকেও এই নিমপাতা দেয় মুক্তি। তবে এই নিমপাতা খাওয়ার একটি বিশেষ ধরন রয়েছে।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে প্রায় ৫০০০ বছর ধরে মানুষের শরীরকে নানা রকমের রোগের হাত থেকে বাঁচাতে নিম পাতাকে কাজে লাগানো হয়ে আসছে। যদিও, এমনটা অবিশ্বাস করার কোনও কারণই নেই।
কারণ, এই গাছটির প্রতিটি অংশ, তা পাতা হোক, কি ডাল, এমনকি নিম ফুলও নানাভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
নিম পাতা আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যকর গঠনের জন্য ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই সম্বন্ধে নানান বিশেষজ্ঞের নানান ধরনের মতামত আছে। কিন্তু তার আগে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।
তা হল, কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে টানা এক মাসের বেশি নিম পাতা খাওয়া উচিত নয়। কারণ তাতে শরীরের উপকার হওয়ার থেকে অপকার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
কিন্তু টানা এক মাস, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে যদি ১ থেকে ২ টো নিম পাতা খাওয়া যায় তাহলে শরীর নিয়ে আর কোনও চিন্তাই করতে হবে না।
কীভাবে খেতে হবে নিমপাতা-বলা হচ্ছে, খালি পেটে খেতে হবে নিমপাতা। তবে তা ২ থেকে ৩ টির বেশি নয়। যদি তেঁতো নিমপাতা খেতে সমস্যা হয়।
তাহলে গুড় দিয়ে খেতে পারেন নিমপাতা। তবে শরীরের পরিস্থিতি অনুযায়ী চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন বহু বিশেষজ্ঞ।