নিম বহু গুণযুক্ত ঔষধি গাছ। যার পাতা, ছাল, বীজ সবই বহু প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
অনেকেই মনে করেন, নিম পাতার রস তৈরি করে তাতে পা ডুবিয়ে রাখলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। এই বিশ্বাস কতটা যুক্তিসঙ্গত? সত্যিই কি এমন কিছু ঘটে?
নিম পাতায় থাকে ফ্ল্যাভোনয়েডস, গ্লাইকোসাইডস ও তিক্ত যৌগ। যা রক্তে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ মতে, নিম খেলে বা শরীরে প্রয়োগ করলে তা প্যানক্রিয়াসকে সক্রিয় করে এবং গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
যদিও পা ডুবিয়ে রাখা মানে সরাসরি রক্তে নিম ঢোকানো নয়, তবে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে—ত্বকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক উপাদান শরীরে শোষিত হয়।
বিশেষ করে ফুট সোক করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, যার ফলে নিমের নির্যাস ত্বক দিয়ে কিছুটা শোষিত হলেও হতে পারে।
পা ডুবিয়ে বসে থাকা মানেই সময় নিয়ে বিশ্রাম নেওয়া। এটি কর্টিসল হরমোন কমায়, যা রক্তে সুগারের মাত্রার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। নিমের ঠান্ডা প্রকৃতিও এতে সাহায্য করে।
গ্রামের দিকে বহু বছর ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিমপাতা ব্যবহার হয়ে আসছে। যদিও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি সীমিত। এই ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ও বিশ্বাসের কারণে মানুষ এই কাজ করে আসছেন।
সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা না হলেও, নিম পাতার রস পায়ে প্রয়োগ করা সহায়ক হতে পারে, তবে তা কোনোভাবেই মূল চিকিৎসার বিকল্প নয়। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা, ডায়েট ও ওষুধ চালিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তারও আগে উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।