সহজ পদ্ধতিতে সিগারেট ছাড়ুন (ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক)
credit: Pinterest
TV9 Bangla
পকেট থেকে সিগারেট-লাইটার বের করা থেকে শুরু করে, আগুন ধরানো, ধোঁয়া ছাড়া ও শেষ টান, এই গোটা প্রক্রিয়াটাই এক ধরনের নেশা। অনেক ধরনের পদ্ধতি মানা যেতে পারে।
প্রথমেই ছটফটানি ভাবকে অতিক্রম করতে হবে। এই নেশা ছাড়ানোর জন্য নিকোটিনের বিকল্প ব্যবহার করতে বলা হয়। চুইংগাম ব্যবহার করতে বলা হয়। তাতে নিকোটিন থাকে, কিন্তু বাকি আনন্দগুলো থাকে না।
ধীরে-ধীরে নিকোটিনও সরিয়ে ফেলা হয়। যাঁরা প্রচুর পরিমাণে সিগারেট খান, তাঁদের জন্য এই পদ্ধতি মানা হয়।
কিন্তু যাঁদের খুব বেশি পরিমাণে নিকোটিনের প্রতি আসক্তি নেই, তাঁদের জন্য রিল্যাক্সেশন এক্সারসাইজ়, গ্রুপ থেরাপির পরামর্শ দিয়ে থাকি আমরা। অনেক সময় মন অন্য দিকে ঘোরানোর পন্থা অবলম্বন করতে বলি।
দেখুন, এই নেশা করার বিষয়টা অধিকাংশ সময়ই শুরু হয় পিয়র প্রেশার থেকে। মেডিটেশন করলে উপকার পাওয়া যায়। বিষয়টা অনেকটাই মনের।
বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে কিংবা সঙ্গদোষে যেমন নেশা করার প্রবণতা বাড়ে, তেমনই গ্রুপ থেরাপি নেশা ছাড়াতে সাহায্য করে। একটা গ্রুপে যদি সকলেই তামাক ছাড়ার পদ্ধতি মানতে শুরু করেন, ইতিবাচক প্রভাব মিলতে পারে।
কেউ যদি মন থেকে রাজি থাকেন এই নেশা ত্যাগ করবেন, তাতে কেউ আটকাতে পারবে না। বন্ধুরাও নয়। আসলে মন ঠিক রাখার বিষয়টাই আসল। মনের জোর বাড়ানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই জন্যই যোগা, কিংবা মেডিটেশন করা দরকার।
চকোলেট জাতীয় কিছু খাওয়া যেতে পারে। তাতেও যদি সমস্যা না মেটে, নিজের মনকে একজায়গায় এনে বোঝাতে হবে। যতবেশি মনকে বোঝানো যাবে, তত তাড়াতাড়ি রেহাই মিলবে ‘ক্ষতিকারক’ সঙ্গ থেকে।