ডিম হল অত্যন্ত উচ্চপ্রোটিনযুক্ত পুষ্টিকর এক খাবার, যা প্রায় সব বয়সী মানুষের জন্যই উপকারী। এতে প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, ডি, আয়রন, কোলিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। তাই চিকিৎসরাও প্রোটিনের উৎস হিসাবে ডিম খেতে বলেন।
তবে সব মানুষের জন্য ডিম উপযুক্ত নয়। কারও কারও শরীরে ডিম বিষের সমান। ডিম খাওয়া কাদের জন্য ক্ষতিকারক?
ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে। যারা হৃদরোগ, উচ্চ কোলেস্টেরল বা হাই ব্লাড প্রেশার-এ ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে বেশি ডিম খেলে রক্তে এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) বেড়ে যেতে পারে। মাঝেমধ্যে ১টা করে ডিম খাওয়া চলতে পারে।
যাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে নিয়মিত ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তবে বিষয়টি এখনও গবেষণাধীন। নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে গেলে ঝুঁকি কম।
লিভার বা কিডনির সমস্যা যাদের আছে তাঁদের জন্য ভাল নয়। যাদের লিভার সিরোসিস বা কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের প্রোটিন খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হয়। বেশি ডিম খেলে ইউরিয়া বা ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যেতে পারে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যাঁদের ডিম অ্যালার্জি আছে। মূলত শিশুদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়, তবে বড়রাও আক্রান্ত হতে পারেন। ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন যেমন ovalbumin, ovomucoid প্রভৃতি অ্যালার্জির জন্য দায়ী।
কিছু লক্ষণ দেখলে সাবধান হওয়া প্রয়োজন। চুলকানি, র্যাশ, বমি, পেটব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কখনও অ্যানাফাইল্যাক্সিস জীবনদায়ী হয়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে ডিম থেকে একদম দূরে থাকা উচিত।
ডিম সুপারফুড হলেও কিছু বিশেষ অবস্থায় এটি শরীরে বিষের মতো ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। তাই কারও যদি ডিম খাওয়ার পর অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, উপরের যে কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডিম খাওয়া উচিত।