গরম দাপট ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রখর রোদে ঘুরলে অনেকেকই গায়ে বেরিয়ে যায় ঘামাচি। তা নিয়ে অস্বস্তির শেষ থাকে না।
উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘামাচির সমস্যা বেশি হয়। কিন্তু তা হলেও চিন্তা করবেন না। এই সব ঘরোয়া উপায়েই আপনি সারিয়ে নিতে পারবেন ঘামাচি।
আলুর রস ঘামাচির সমস্যার সমাধানে একেবারে অব্যর্থ। পাতলা পাতলা করে আলু কেটে ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে মিনিট পাঁচেক ঘষুন।
অ্যালোভেরার রস প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে। ত্বকে ব্যাকটেরিয়া-ঘটিত র্যাশ, চুলকানিতে অ্যালোভেরার রস অত্যন্ত কার্যকরী। ঘামাচির সমস্যায় অ্যালোভেরা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে তার রস ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে দিন।
সারা রাত ছোলার ডাল জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ভাল করে বেটে নিন। এ বার ওই ডাল বাটা ঘামাচির ওপর লাগিয়ে মিনিট পনেরো রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মসুর ডাল বাটার সঙ্গে কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রাখলেও ঘামাচি দ্রুত সেরে যাবে। কমে যাবে চুলকানিও।
ঘামাচি, র্যাশ, চুলকানির সমস্যায় মুলতানি মাটি ব্যবহার করে দেখুন উপকার পাবেন। ৪ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে কয়েক ১ চামচ গোলাপজল আর আধা কাপ জল দিয়ে প্রথমে পেস্ট তৈরি করুন। এ বার ওই পেস্ট ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে মিনিট কুড়ি রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বেসন, গোলাপজল আর মধু-- এই ৩ উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করে ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রাখুন। মিনিট কুড়ি পর ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে ঘষে তুলে ফেলুন।