ঘুম কেবল ক্লান্তি তাড়ানোর উপায় নয়। প্রতিদিনের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অংশগুলির মধ্যে একটি। শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলেন সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
ঘুম শরীর ও মনকে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম ও শক্তিতে পূর্ণ করে। কিন্তু অনেকেই ঘুমকে গুরুত্ব না দিয়ে অপর কাজে সময় ব্যয় করে ফেলেন। জানেন এতে স্বাস্থ্যের উপর কী কী প্রভাব পড়ে?
ওজন বাড়া - ঘুমের ঘাটতিতে হলে ঘ্রেলিন ও লেপটিন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলস্বরূপ আপনার উচ্চ-ক্যালরিসম্পন্ন ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ওজনও বাড়তে থাকে। ফলে শরীরে শক্তির ঘাটতি, পরিশ্রম করার ক্ষমতা হ্রাস, ওজন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি - ঘুমে ঘাটতি শরীরের ইনসুলিন ব্যবহারের ক্ষমতাও হ্রাস করে। যা ইনসুলিন রেজিসটেন্সের জন্ম দিতে পারে। ফলে রক্তে সুগার বা গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে পারে এবং সময়ের সঙ্গে তা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে পরিণত হতে পারে।
হৃদরোগের ঝুঁকি - অনিয়মিত ঘুম কার্ডিওভার্টিক ব্যবস্থাকেও দুর্বল করে দিতে পারে। এর ফলে উচ্চরক্তচাপ, কর্টিসল হরমোনের মাত্রা ও প্রদাহ বাড়ে। যা শেষ পর্যন্ত হৃদরোগ, স্ট্রোক ও কার্ডিওভার্টিক অসুস্থতা বাড়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস - ঘুমের সময় শরীরে সাইটোকাইন নির্গত হয়, যা সংক্রমণ ও প্রদাহের সঙ্গে লড়াই করে। ঘুমে ঘাটতি হলে এই সাইটোকাইনগুলির উৎপাদন কমে যায়। ফলে সর্দি-কাশি বা ফ্লুর মতো সমস্যা দেখা যায়।
ক্যান্সারের ঝুঁকি - অল্প ঘুম শরীরের ডিএনএ মেরামত ও কোষ বিভাজনকে ব্যাহত করে। এর সঙ্গে মেলাটোনিন হরমোনের ঘাটতিও থাকে, যা বিশেষ কিছু ক্যান্সার, যেমন — স্তন, প্রোস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
মনে রাখবেন, প্রয়োজনীয় ঘুম না হলে তা আপনার স্বাস্থ্যের উপর একাধিক উপায়ে প্রভাব ফেলতে পারে। উপরিক্ত সমস্যা তো আছেই তার সঙ্গে মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকা, ক্লান্ত বোধ হওয়া, বিষন্নতার মতো সমস্যাো দেখা দিতে পারে।