HMP ভাইরাস আসলে ৪০০ বছরের পুরনো? কী ভাবে তা সংক্রমিত হল মানুষের মধ্যে?
credit: Meta AI
TV9 Bangla
HMP ভাইরাসের বাড় বাড়ন্ততে অস্থির চিন। সোমবার ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে ভারত তথা কলকাতাতেও। ২০০১ সালে এই ভাইরাস আবিষ্কার হলেও এখনও অবধি পাওয়া যায়নি টিকা।
সত্যি কি এই ভাইরাস মাত্র ২৪ বছর পুরনো? বিজ্ঞানীদের মতে এই ভাইরাস বাস্তবে ২০০-৪০০ বছরের পুরনো। আগে এই ভাইরাস কেবল পাখিদের মধ্যেই সংক্রমিত হত।
তখন এই ভাইরাসের নাম ছিল মেটানিউমোভাইরাস। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ২০০১ সালে প্রথম মানব দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি আবিষ্কার করে।
পাখিদের শরীর থেকে কী ভাবে মানুষের শরীরে প্রবেশ করল এই ভাইরাস? বিজ্ঞানীদের মতে ভাইরাস মাত্রই নিয়ম হল সময়ের সঙ্গে নিজের চরিত্র বদলনো।
চরিত্র বদলাতে বদলাতেই তা ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে শুরু করে। এখন সেই ভাইরাসের চরিত্র এতটাই পরিবর্তিত যে তা কেবল মানুষকেই সংক্রমিত করে।
কোভিডের বা নিউমোনিয়ার মতোই এই ভাইরাস একই গোষ্ঠীর। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ২-৫ বছরের রিস্ক বেশি।
একমাত্র উচ্চ ইমিউনিটি পাওয়ার এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়। জ্বর, সর্দি, কাশি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ভাইরাল ইনফেকশনের মতোই HMP ভাইরাসের উপসর্গ একই।
আপনারও যদি সর্দি, কাশি বা জ্বর হয় তাহলে, মরসুম বদলের ভাইরাল ইনফেকশন ভেবে ভুল করবেন না। বরং অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।