ভুল খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা, অনিশ্চিত ঘুম ইত্যাদি নানান কারণে পেটের গোলযোগ দেখা দিয়ে থাকে। পেট ব্যথা, অ্যাসিডিটি হয় না, এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম।
জীবনযাপন প্রণালীর মান উন্নত করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু এমন কিছু খাবার-দাবার আছে, যার সাহায্যে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
পেট ভাল রাখার জন্য প্রচুর জলপানের কোনও বিকল্প নেই ৷ গ্যাস, অম্বল, পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেও জলপান করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ৷ সেইসঙ্গে ভুললে চলবে না শরীরচর্চার রুটিনও ৷
নোনতা খাবারে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায় অনেকটাই ৷ অতিরিক্ত নুনের প্রভাবে শরীরে জলের পরিমাণে ঘাটতি দেখা যেতে পারে ৷ তাই নুন বা নোনতা খাবার এড়িয়ে চলুন ৷
এক গ্লাস জলে ১ বা ২ চা চামচ তুলসীর বীজ ভিজিয়ে রেখে দিন। এগুলি ফুলে উঠলে পান করুন। তবে মনে রাখুন এই বীজগুলি ঠান্ডা প্রকৃতির হয়। তাই ‘পিরিয়ডস বা সর্দি, কাশি থাকলে এটি পান করবেন না।
ডাবের জল এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত অ্যালকালাইন জল পান করুন। গ্যাস অম্বলের সমস্যা দূর হবে।
খাবার খাওয়ার পর মৌরী খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় অনেকের মধ্যেই। এটি অ্যাসিডিটি কমাতে পারে। মৌরী দেওয়া চা-ও পান করা যেতে পারে। এর ফলে পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং বদহজমের সম্ভাবনা কমে।
ছোট এলাচ হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। পেটে যে খারাপ অ্যাসিড উৎপন্ন হয় তা দূর করতেও সাহায্য করে এলাচ। গ্যাস অনুভব হলেই ২টি ছোট এলাচ গুঁড়ো করে জলে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। তার পর ঠান্ডা করে সেটি পান করুন।