12 JUL 2025

কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে ধূমপান, মদ্যপান করলে কোনও ক্ষতি হয়?  

Credits:, TV9

TV9 Bangla

কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনাটা অত্যন্ত জরুরি।

বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা এবং কিছু অভ্যাসে কিছু ওপর গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। এর মধ্যে সিগারেট এবং মদ্যপান অন্যতম। অনেকের মনে হতে পারে কোলেস্টেরলের ওপর কী প্রভাব ফেলে এই দুটি উপাদান?

ধূমপানের প্রভাব কোলেস্টেরলের ওপর সরাসরি ও ভয়ঙ্কর। গবেষণায় দেখা গেছে। গবেষণাট দেখা গেছে সিগারেট HDL (ভাল কোলেস্টেরল)-এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। LDL (খারাপ কোলেস্টেরল) এবং Triglyceride-এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

রক্তনালির অভ্যন্তরীণ দেওয়ালে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা প্লাক জমা ও অ্যাথেরোসক্লেরোসিস (ধমনী শক্ত হয়ে যাওয়া) মতো  সমস্যা ঘটায়। ধূমপান রক্তে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়িয়ে দেয়, যা কোলেস্টেরলকে আরও ক্ষতিকর করে তোলে

কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে সিগারেট বা যে কোনও ধরনের ধূমপান পুরোপুরি বন্ধ করা উচিত। এটি কেবল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে নয়, হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের সামগ্রিক সুস্থতার জন্যও জরুরি।

মদ্যপানের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও জটিল। অল্পমাত্রায় (moderate) মদ্যপানে HDL বাড়তে পারে বলে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে। যেমন ধরুন দিনে ১ পেগ (১৪ গ্রাম অ্যালকোহল) পর্যন্ত রেড ওয়াইন বা বিয়ার HDL বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।

কিছু ক্ষেত্রে এটি রক্ত পাতলা করতেও সাহায্য করে। তবে, এর কোনওটাই ডাক্তারি অনুমতি ছাড়া গ্রহণযোগ্য নয়। অতিরিক্ত মদ্যপান ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। যকৃতের ক্ষতি করে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। নিরাপদ হল কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে ধূমপান এবং মদ্যপান একেবারে বন্ধ করা। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সুস্থ থাকার চাবিকাঠি।