21 JUN 2025

মনের যত্ন নিতেও জরুরি যোগা! কেন, জানুন বিশ্ব যোগ দিবসে

credit:Facebook

TV9 Bangla

২১ জুন, বিশ্ব যোগ দিবস। যোগা বহু মানুষেরই প্রাত্যহিক জীবনের অঙ্গ। সুস্থ থাক্তে যোগ চর্চার কথা আমরা সকলেই জানি। তবে যোগা শুধু শারীরিক ব্যায়াম নয়, এটি একটি মানসিক প্রশান্তির পথও বটে।  মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ যোগ চর্চা?

স্ট্রেস ও দুশ্চিন্তা কমায় - যোগাসনের সঙ্গে নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণ (প্রাণায়াম) মস্তিষ্কে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ায়, কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ কমায়। ফলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ অনেকটাই কমে যায়।

মনোযোগ ও একাগ্রতা বৃদ্ধি করে - ধ্যান বা মেডিটেশন যোগার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি নিয়মিত চর্চা করলে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হয়, স্মৃতিশক্তি ও কাজের প্রতি একাগ্রতা বাড়ে।

ভাল ঘুমে সহায়তা করে - যোগা অনিদ্রা বা ঘুমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। শবাসন, যোগনিদ্রা ইত্যাদি মস্তিষ্ককে শান্ত করে, ঘুমের গভীরতা ও মান উন্নত করে।

মানসিক স্থিতি আনে - যোগা মানসিক ভারসাম্য গড়ে তোলে। ক্রোধ, হতাশা বা দুঃখজনক অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায়। ফলে ব্যক্তি আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন।

আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান বাড়ায় - নিয়মিত যোগাভ্যাস শরীর-মন উভয়কে সুস্থ রাখে, নিজেকে নিয়ে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করে। ফলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

ডিপ্রেশন প্রতিরোধে সহায়ক - গবেষণায় দেখা গেছে, যোগা ডিপ্রেশনের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে। এটি নিউরোট্রান্সমিটারগুলিকে ভারসাম্য করে, বিশেষ করে সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায়, যা মেজাজ ভালো রাখে।

মনসংযোগ বাড়াতে সাহায্য করে - যোগা 'মাইন্ডফুলনেস' বা সচেতন উপস্থিতি শেখায়। এটি ভবিষ্যতের চিন্তা বা অতীতের আক্ষেপ থেকে মুক্ত করে, বর্তমানকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন মাত্র ২০-৩০ মিনিট যোগা করলে মন শান্ত, দৃঢ় এবং সুস্থ থাকে।