05 JUL 2025

এক নয় রোজ সাঁতার কাটলে আপনার শরীরে পড়ে এই ৭ প্রভাব  

credit:,Getty Images

TV9 Bangla

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মতে নিজেকে সুস্ত রাখতে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার অ্যারোবিক ব্যায়াম অথবা ৭৫ মিনিট উচ্চ মাত্রার অ্যারোবিক ব্যায়াম করা উচিত।

ব্যায়ামের নানা রকম ধরন রয়েছে। তবে এমন কোন ব্যয়াম আছে যা শরীর এবং মন দুটিকেই একসঙ্গে চাঙ্গা রাখতে পারে জানেন? উত্তর হল সাঁতার। কেন এই কথা বলছি?

বর্ষাকালে সাঁতার কাটার অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে। সাঁতার শরীরের একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সক্রিয় করে তোলে, ফলে এটি কম ঝুঁকিপূর্ণ অথচ অত্যন্ত কার্যকর এক্সারসাইজ হিসেবে বিবেচিত।

সাঁতারের সময় শরীরের প্রায় সব বড় মাংসপেশি, যেমন — হাত, পা, পিঠ ও কোমরের পেশিগুলি সক্রিয়ভাবে কাজ করে। বিভিন্ন স্ট্রোক পদ্ধতির মাধ্যমে পেশি টোনিং হয়। জিম বা অনান্য অনেক ব্যায়াম কেবল নির্দিষ্ট কোনও অংশে কাজ করে। সাঁতার পুরো শরীরের শক্তি এবং ভারসাম্য বাড়ায়।

সাঁতার আপনার হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি হৃদস্পন্দন বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তসঞ্চালন ও শরীরে অক্সিজেন প্রবাহ উন্নত করে। নিয়মিত সাঁতার হার্টকে আরও শক্তিশালী করে, রক্তচাপ কমায় এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়।

জলে শরীর ভেসে থাকার ফলে হাড় ও জয়েন্টে চাপ অনেকটাই কমে যায়। যাঁদের আর্থ্রাইটিস, ইনজুরি বা জয়েন্ট পেন আছে, তাঁদের জন্য সাঁতার অত্যন্ত উপযোগী। এতে তাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যয়াম করতে পারেন।

জলের প্রতিরোধ বাতাসের তুলনায় বেশি, ফলে পেশিকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এর ফলে টোনড পেশি গঠিত হয়। সাঁতারের বিভিন্ন স্ট্রোক বিভিন্ন পেশিগুলিতে কাজ করে, যা সামগ্রিক পেশিশক্তি বাড়ায়। স্বপ্নের টোনড বডি পেতে সাহায্য করে।  

ক্যালোরি বার্ন করতেও সাঁতারের কোনও তুলনা নেই। কেউ যদি মাঝারি গতিতে এক ঘণ্টা সাঁতার কাটেন তাহলে প্রায় ৪০০–৫০০ ক্যালোরি পোড়াতে পারেন। সুতরাং দ্রুত রোগা হতে চাইলেও কিন্তু দারুণ কার্যকর এই ব্যয়াম।