কফি শুধু স্বাদের জন্যই ভালো নয়, পাশাপাশি এর রয়েছে এক বিশেষ গুণ। কফি খেলে শরীরে মেলে এনার্জি। তাই ঘুম পেলে বা কাজে মন না বসলে মানুষ চট করে কফি খেয়ে নেন ।
কফির মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন। এ ক্যাফেইন শরীরকে উত্তেজিত করে তোলে। তাই ক্যাফেইন খেলে ব্রেন উত্তেজিত হয়ে যায়। সেই কারণে ঘুম হয় না বা আসতে চায় না। তাই বলা হয় রাতের দিকে কফি না খেতে। এতে সমস্যা আরও বাড়ে।
পেটের সমস্যা বাড়ে। এক্ষেত্রে পেটের সমস্যার কারণ হলো সেই ক্যাফেইন। আসলে কফি খেলে পেটে কিছু হরমোন বেরিয়ে আসে। সেই সব হরমোন আমাদের পেটে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা তৈরি করে দিতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত কফি খেলে হাড়ের ক্ষয় হয়। আসলে ক্যাফেইনের কারণেই এ সমস্যা হয়ে থাকে। ধীরে-ধীরে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে।
তাই অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত রোগীদের এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। যদি আপনার এই সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কফি না খাওয়াই ভালো।
আসলে কফি আমাদের শক্তি দেয়। তবে নিয়মিত কফি খেলে কিন্তু শরীরে অত্যধিক ক্লান্তি ক্লান্তি গ্রাস করতে পারে। তাই প্রতিটি মানুষকে এ দিকটাতে নজর দিতে হবে।
এ ছাড়া অতিরিক্ত কফি খেলে ত্বক জেল্লা হারাতে থাকে। শুধু তাই-ই নয়, চোখের তলায় মোটা হয় কালো দাগ অর্থাৎ ডার্ক সার্কল।
কতটা খাবেন? পরিমাণটা জানা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দিনে ২ কাপ কফি খাওয়া যথেষ্ট। এর বেশি প্রয়োজন নেই। আর রাত ৮টার পর আর কফি মুখে তুলবেন না। তাহলেই সমস্যা কমবে।