খাবার বা জল রাখার জন্য আমরা যে প্লাস্টিকের পাত্র বা বোতল ব্যবহার করি, সেগুলো পলিকার্বোনেট প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়। এই প্লাস্টিককে নমনীয় করার জন্য তাতে যোগ করা হয় বিসফেনল এ বা বিপিএ।
এটি একটি রাসায়নিক। দিল্লির আইসিএমআর এবং হায়দরাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন (এনআইএন) এর গবেষকরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় বিপিএ রাসায়নিকগুলো অনাগত শিশুর ফার্টিলিটি সিস্টেমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্লাস্টিকে প্যাক খাবারে প্রায় ২.৩০ লক্ষ মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে। অপরদিকে প্লাস্টিকের আবরণ ছাড়া খাবারে ৫০,০০০ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা ছিল।
গবেষকরা দাবি করছেন, এই পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক শুধু প্যাক করা খাবার থেকেই পাওয়া গেলে প্রত্যেক মানুষের পেটে প্রতিদিন ১০ গ্রাম মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করছে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউট্রিশন এর গবেষণা অনুসারে, প্লাস্টিকের পাত্রে সঞ্চিত খাবার খাওয়ার পরে গর্ভবতী মহিলারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। কারণ এই প্লাস্টিকের বিষ তাদের শিশুর শরীরেও পৌঁছে যেতে পারে।
রান্নাঘরে দুই ধরনের প্লাস্টিক থাকে। এর মধ্যে একটি হলো ডিসপোজেবল পানির বোতল বা প্যাকেজিং প্লাস্টিক এবং অন্যটি প্লাস্টিকের পাত্র যার উপর ফুড গ্রেড বা বিপিএ উল্লেখ করা হয়।
সংস্থাগুলো দাবি করে যে, বিপিএমুক্ত ফুডগ্রেড প্লাস্টিক শরীরের কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এর সঙ্গে একদমই একমত নন।এনআইএন-এর গবেষণা অনুসারে, প্রত্যেকের বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা উচিত।
এই ধরনের পাত্রে জায়গা অনেক বেশি থাকে ঠিকই, তবে সেই পাত্র মাইক্রোওয়েভে ঢুকিয়ে গরম করলে তখন প্লাস্টিক থেকে খাবারে বিপিএ রাসায়নিকের প্রবেশের ঝুঁকি বেড়ে যায়।