জোয়ান অনেকটা নেশার মতোই। যারা প্রতিদিন খান তাঁদের আবার ওটি না হলে চলে না। এবার কেউ কেউ হয়তো বলবেন এই নেশা তো ভাল। কোনও ক্ষতি নেই, উলটে হজমে সহায়ক। সত্যিই কি তাই?
ভারতীয়দের হেঁশেলে অত্যন্ত পরিচিত মসলা জোয়ান। এটি শুধু স্বাদ-গন্ধ বাড়ায় না, বরং রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ। তবে প্রতিদিন মুঠো মুঠো করে জোয়ান খাওয়ার আগে জানা জরুরি—এর উপকার যেমন আছে, তেমনি অতিরিক্ত খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
জোয়ানে থাকে থাইমল নামক উপাদান, যা পাচন রস নিঃসরণে সাহায্য করে। এটি গ্যাস, বদহজম, অম্বল, পেট ফাঁপা দূর করতে খুবই কার্যকর। প্রতিদিন সকালে ভেজানো জোয়ান খেলে হজমশক্তি বাড়ে।
জোয়ানের উষ্ণ প্রকৃতি শরীরের শ্লেষ্মা কমাতে সাহায্য করে। ঠান্ডা, সর্দি ও কাশিতে এটি ভীষণ কার্যকর। জোয়ান শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়, ফলে ক্যালোরি দ্রুত খরচ হয়। যারা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য এটি সহায়ক হতে পারে।
জোয়ানের মধ্যে থাকে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে, যা ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে। মাসিকের সময় পেটব্যথা বা ক্র্যাম্প হলে জোয়ান সেদ্ধ জল পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
যেহেতু জোয়ান গরম প্রকৃতির, তাই অতিরিক্ত খেলে শরীরে গরম ভাব, অম্বল বা পেট জ্বালাপোড়া বাড়তেও পারে। গ্রীষ্মকালে বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে।
হজমে সাহায্য করলেও অত্যাধিক খেলে উলটে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা অম্বল বাড়িয়ে দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় বেশি পরিমাণে জোয়ান খাওয়া জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে পারে, ফলে গর্ভপাতের ঝুঁকি হতে পারে।
জোয়ান ব্লাড প্রেসার কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে, তাই যারা আগে থেকেই লো প্রেসারে ভোগেন, তাঁদের সাবধানে খাওয়া উচিত। জোয়ান রোজকার জীবনে সীমিত পরিমাণে খেলে হজম, ওজন নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদিতে সহায়ক। তবে মুঠো মুঠো খাওয়া অভ্যাস করলে শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে।