কেউ মোটা হলে তাঁকে পিছনে লাগার জন্য বলা হয় দিন দিন কুমড়ো হয়ে যাচ্ছিস। এমনকি এও বলা হয় যে কুমড়ো খাস না ওই রকম হয়ে যাবি। কুমড়ো কি সত্যি ক্ষতিকারক?কী বলছেন চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়?
নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু বলছেন কুমড়ো আসলে একটা সুপার ফুড। কারণ এতে কার্বোহাইড্রেট এবং নুন বা সোডিয়ামের পরিমাণ অত্যন্ত কম।
এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। যা মস্তিষ্কের সুস্থভাবে কাজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করেন সুগার রোগীদের বোধহয় কুমড়ো খাওয়া উচিত নয়।
নারায়ণ বাবু বলছেন এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। এক কাপ রান্না করা কুমড়োতে মাত্র ৮৩ ক্যালোরি থাকে। তাই এটা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই ভাল।
কেবল সুগার রোগীরাই নয়। তালিকায় আছেন হার্টের রোগীরাও। চিকিৎসক জানান, এটি হার্টের রোগীদের জন্যও উপকারী। এতে নুন অর্থাৎ সোডিয়াম ক্লোরাইড কম থাকে।
শর্করা কম থাকে, কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। পটাশিয়াম বেশি থাকে, যা আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কুমড়োয় থাকে জিঙ্ক। বিশেষ করে কুমড়োর বীজে থাকে বহুল পরিমাণে জিঙ্ক। যা থাইরয়েডের রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
নারায়ণ বাবু জানান, বাইরের দেশে কুমড়ো সুপার ফুড হিসাব পরিচিত। যে কেউ নির্দ্বিধায় কুমড়ো খাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে থাইরয়েড, হার্ট এবং ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর এই খাবার।