পাইলস আসলে কী, কেন হয়? ঠিক কোন কাজ করলে মেলে মুক্তি?
Credits:, TV9
TV9 Bangla
অর্শ্বরোগ বা পাইলস হল মলদ্বারের ভিতরে বা বাইরের রক্তনালিগুলোর ফুলে ওঠা বা ফোলাভাব। এটি একধরনের শিরা-সংক্রান্ত রোগ, যেখানে মলদ্বারের চারপাশের শিরাগুলি চাপে পড়ে স্ফীত হয়ে যায়।
এই রোগ যেমন কষ্টদায়ক তেমনই অস্বস্তিকর। তবে প্রাথমিক অবস্থায় সচেতনতা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অর্শ্বরোগ হওয়ার প্রধান কারণ দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য ও অতিরিক্ত চাপ দিয়ে মলত্যাগের অভ্যাস। এতেই মলদ্বারের শিরাগুলিতে চাপ পড়ে এবং সেগুলি ফুলে ওঠে।
এছাড়াও দীর্ঘ সময় বসে থাকা কম ফাইবারযুক্ত খাবার দাবার খাওয়া, জল কম খাওয়া, অতিরিক্ত ওজন, গর্ভাবস্থায় বা বংশগত কারণে এসব রোগ হতে পারে। এতেই বাড়তে পারে অর্শ্বরোগের ঝুঁকি।
পাইলসে আক্রান্ত হলে সাধারণত মলত্যাগের সময় রক্তপাত, চুলকানি বা জ্বালাভাব, মলদ্বারে ব্যথা ও অস্বস্তি, মলদ্বার থেকে মাংসপিণ্ড বের হওয়া এই সবই এই রোগের লক্ষণ।
প্রতিদিনের কাজকর্মে মনোযোগের ঘাটতি ও মানসিক অশান্তি এই রোগের ফলেই ঘটে। অর্শ্বরোগ একদিকে যেমন শারীরিক সমস্যা তৈরি করে, অন্যদিকে মানসিক চাপ ও অস্বস্তিও বাড়ায়।
অর্শ্বরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে তাই প্রয়োজন জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন। যেমন ফাইবারযুক্ত ডায়েট। বেশি পরিমাণে শাকসবজি, ফল, শস্যদানা খাওয়া উচিত। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন।
প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করুন। দীর্ঘক্ষণ জোর করে মলত্যাগের চেষ্টা না করাই ভাল। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ল্যাক্সেটিভ ব্যবহার করতে পারেন। মলদ্বারে ঠান্ডা সিটজ বাথ, হেমোরয়েড ক্রীম, বা মেডিসিন ব্যবহার উপকারী হতে পারে।
প্রয়োজনে অনেক সময় অস্ত্রপচার করতে হতে পারে। তবে যে কোনও ওষুধ খাওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে যদি অর্শ্বরোগ দীর্ঘস্থায়ী বা রক্তপাতজনিত হয় তাহলে উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি।