আমরা সকলেই দেখেছি অনেকক্ষণ ধরে জলে হাত রাখলে আঙুলের ডগার চামড়া কুঁচকে যায়। বিশেষ করে তালু বা পায়ের পাতার ত্বকে এমন ঘটনা ঘটে। কেন এমন হয়, জানেন?
আমাদের হাতের ও পায়ের চামড়ার ওপরের স্তরকে বলে এপিডার্মিস। এই অংশে ঘামের গ্রন্থি থাকে। যার চামড়া একটু পুরু হয়। যখন আমরা দীর্ঘ সময় জলে থাকি, তখন এই ত্বকের স্তর জল শোষণ করে ফুলে ওঠে।
নিচের স্তর সেই পরিমাণে প্রসারিত না হওয়ায় ত্বকে ভাঁজ পড়ে বা কুঁচকে যায়। তবে এটি কেবলমাত্র জল শোষণের ফলে হয় না। বরং এটি স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি প্রক্রিয়া।
বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, এই কুঁচকে যাওয়া ঘটনার পিছনে আছে আমাদের স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র। এই প্রতিক্রিয়া আমাদের হাতকে ভেজা অবস্থায় যে কোনও বস্তু ভালভাবে ধরে রাখতে সাহায্য করে।
এক্সপেরিমেন্টে দেখা গেছে, যাদের হাতে স্নায়ুর ক্ষতি হয়েছে, তাদের ত্বক ভিজলেও কুঁচকায় না। এটাই প্রমাণ করে এই প্রক্রিয়া স্নায়ু-নিয়ন্ত্রিত।
অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে ত্বক জলে ফুলে ওঠে। নিচের স্তর না ফুললেও উপরের স্তর সামান্য ভাঁজ খায়। স্নায়ু ব্যবস্থা এটিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
এই কুঁচকে যাওয়া চামড়া জিনিস ধরার ক্ষমতা বাড়ায়। জলে হাত রাখলে চামড়া কুঁচকে যাওয়া নিছক ত্বকের আচরণ নয়, এটি আমাদের দেহের চমৎকার অভিযোজন ক্ষমতার প্রমাণ।