সত্যযুগে মহাদেবের উপর শোধ নেওয়ার জন্য দক্ষ রাজা বৃহস্পতি নামে এক মহাযজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন।
যক্ষের রাগের কারণ, তাঁর কন্যা সতী বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মহাযোগীকে বিবাহ করেছিলেন।
মহাদেব ও সতীকে ছাড়া সব দেবদেবীকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ওই যজ্ঞে।
কিন্তু পিতার অনুষ্ঠানে মহাদেবের অনিচ্ছা সত্ত্বেও সতীদেবী সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
মহাদেবীকে দক্ষ কথা দিয়েছিলেন, তিনি তাঁর কোন রূপ অপমান করলে মহামায়া পিতাকে ত্যাগ করবেন।
যজ্ঞ অনুষ্ঠানে মহাদেব ও মহামায়াকে যথাযোগ্য সম্মান না দেওয়ায় পিতার প্রতি ক্ষোভ দেখিয়ে ও অপমান সহ্য না করে যোগবলে আত্মাহুতি দেন মহামায়া।
শোকাহত মহাদেব দক্ষের যজ্ঞ ভণ্ডুল করে সতীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে প্রলয় নৃত্য করেন।
ভগবান বিষ্ণু মহাদেবের রুদ্র রূপ দেখে সৃষ্টির ধ্বংসের প্রমাদ গুনতে শুরু করেন। সেই সময় মহাদেবকে থামাতে সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর মৃতদেহকে ৫১টি খণ্ডে বিভক্ত করেন।
সতীর দেহাংশগুলি পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে প্রস্তররূপে সংরক্ষিত হয়। সেই স্থানগুলিই পবিত্র শক্তিপীঠ বা পীঠস্থান রূপে পূজিত হয়।
কামাখ্যা শক্তিপীঠে সতীর শরীরের যোনির অংশ পড়েছিল। সেই অংশ পাথরের পরিণত হয়। তাই এখানে দেবীর যোনি পুজো করা হয়।
পুরাণ অনুযায়ী, প্রতি শক্তিপীঠেই শক্তিদেবী ভৈরবের সঙ্গে অবস্থান করেন। এখানে কোনও মূর্তি নেই। শুধু একটি পাথরের সরু গর্ত দেখা যায়।