১৪৪ বছর পর 'মহাকুম্ভ' হচ্ছে প্রয়াগে। ফলে, সেই বিরল যোগের সাক্ষী হতে গঙ্গা-যমুনার সঙ্গমস্থলে পৌঁছেছেন পূণ্যার্থীরা। জীবনে একবারই এই যোগ দেখার সুযোগ হয় মানুষের।
২০২৫ সালে মহাকুম্ভ আয়োজিত হয়েছে। এই যোগ আবার আসবে ১৪৪ বছর পর। অর্থাৎ হিসেব বলছে, ২১৬৯ সালে ফের হবে মহাকুম্ভ। অর্থাৎ একজন মানুষ জীবদ্দশায় একবারই দেখে যেতে পারবেন।
গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানের ওপরেই নির্ভর করে, কবে হবে মহাকুম্ভ। প্রতি বছর কুম্ভ, প্রতি ৬ বছর অন্তর অর্ধকুম্ভ ও প্রতি ১২ বছর অন্তর হয় পূর্ণকুম্ভ।
প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক ও উজ্জ্বয়িন- এর মধ্যে যে কোনও একটি জায়গায় মহাকুম্ভের আয়োজন করা হয়। কথিত, আছে এই জায়গাগুলিতে অমৃত পড়েছিল।
আসলে সূর্য, চাঁদ, শনি ও বৃহস্পতি এক বিশেষ অবস্থানে এলে তবেই হয় মহাকুম্ভ। আর সেই অবস্থান তৈরি হয় ১৪৪ বছর পর পর। সেই কারণেই এই যোগ অত্যন্ত বিরল।
১৪৪ বছর পর একই লাইনে চলে আসে সূর্য, চাঁদ, শনি ও বৃহস্পতি। তখনই পৃথিবীতে হয় মহাকুম্ভ। এই বিশেষ অবস্থানের একটি পৌরাণিক তাৎপর্যও রয়েছে।
কথিত আছে, অসুরদের হাতে যাতে অমৃত না পৌঁছে যেতে পারে, তার জন্য এই বিশেষ অবস্থান তৈরি করেছিল শনি, বৃহস্পতি, সূর্য ও চাঁদ। সেই কারণেই এই অবস্থানের পৌরাণিক গুরুত্ব রয়েছে।
পুরাণে আরও উল্লেখ আছে যে, অসুরদের হাত থেকে অমৃত রক্ষা করতে সেই সময় চার সাধু পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রয়াগে।