কনের মাসি-কাকির সঙ্গে পাত্র শারীরিক সম্পর্ক করলে, তবেই হবে বিয়ে! কোথায় আছে এই নিয়ম?
Credits:, Getty Images
TV9 Bangla
বিশ্বে কত রকমের যে অদ্ভুত নিয়ম প্রচলন রয়েছে মনুষ্যজাতির মধ্যে তা বলে শেষ করা যাবে না। বিয়ে নিয়ে ভারতেই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের নিয়মরীতি। তবে এই প্রতিবেদনে যে রীতির কথা বলব তা একদম আলাদা।
এমনিতে আজকাল বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়াটা খুব একটা বড় বিষয় নয়। তবে যদি বলি বিয়ের আগে হবু বরকে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে হয় তাঁর হবু স্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। শুনেই অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
অদ্ভুত এই নিয়ম প্রচলিত রয়েছে পূর্ব উগান্ডার জনজাতি বানিয়াকোল বা এনকোলের মধ্যে। এই জনজাতির প্রাচীন প্রথা অনুসারে কোনও তরুণীর সঙ্গে তরুণের বিয়ে ঠিক হলে পাত্র-পাত্রী দুজনকেই পরীক্ষা দিতে হয়।
দুজনের পরীক্ষার বিষয় আলাদা। প্রথা অনুসারে পাত্রকে বিয়ের আগে নিজের শারীরিক সক্ষমতার পরিচয় দিতে হয়। তিনি শারীরিক কলা-ছলায় কতটা পারদর্শী সেটা প্রমাণ করতে হয় শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের কাছে।
এই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব থাকে কনের কাকিমা, পিসিমা, মাসিদের উপর। এই রকম ৬ জনের সঙ্গে সরাসরি শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হয় পাত্রকে। যুবক দৈহিক মিলনে উপযুক্ত কিনা তাই দেখা হয়।
মাসিমা-পিসিমারা পাত্রকে পাস সার্টিফিকেট দিলেই তবে সে বিয়ের জন্য উপযুক্ত বলে গণ্য করা হয়। এখানেই শেষ নয়। আছে আরও।
কনের পরীক্ষাও দায়িত্বও তাঁদের উপরেই। কুমারী কিনা সেটাও পরীক্ষা করে দেখেন মাসিমা-কাকিমারাই। সব দিকে সবুজ সংকেত এলে তবেই বিয়ের সানাই।
যদিও এই বিষয়ে আছে ভিন্নমত। মতভেদে, মাসিদের কর্তব্য ছিল কেবল বর এবং তার ভাগ্নির মধ্যে যৌন মিলন দেখে বরের ক্ষমতা প্রমাণ করা। মাসিমা-কাকিমারা সম্পর্কে লিপ্ত হন না।