যেখানে বিজ্ঞান ফেল, অলৌকিক ক্ষমতা দেখান নীলাচলের জগন্নাথদেব!
credit:Getty Images
TV9 Bangla
ভারতবর্ষের যে কটি উৎসবের জনপ্রিয়তা গোটা বিশ্বব্যাপী, তার মধ্যে অন্যতম রথযাত্রা। দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন পুরীর রথের রশিতে টান দিতে। তবে কেবল রথ নয় পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে প্রচলিত রয়েছে আরও নানা অদ্ভুত কাহিনি।
এমন কিছু ঘটনা, যা আজও ব্যাখ্যা করতে পারেনি বিজ্ঞান। যাকে অলৌকিক ছাড়া আর কোনও শব্দে ব্যাখ্যা করা যায় না। এই প্রতিবেদনে রইল তেমনই সব অদ্ভুত কাহিনি।
প্রায় ৪ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত পুরীর জগন্নাথ মন্দির। মূল মন্দিরের চূড়ার উচ্চতা ২১৪ ফুট। অথচ অদ্ভুত ভাবে এই চূড়ার নাকি কোনও ছায়া পড়ে না। এবার কোন বিজ্ঞানে এমনটা ঘটে তা আজ পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেননি কেউই।
জগন্নাথের মূল মন্দিরের মাথায় বসানো রয়েছে একটি সুবিশাল চক্র। যা সময়ের প্রতীক। কিন্তু মজার বিষয় হল আপনি যেদিকেই তাকান না কেন, মনে হবে এই চক্রটি আপনার দিকেই ঘোরানো। তাছাড়া কীভাবে প্রায় ১ টন ওজনের ওই সুবিশাল চক্র অত উঁচু মন্দিরের চূড়ায় বসানো হয়েছিল সেই এক রহস্য।
আকাশের পাখি ওড়া খুবই সাধারণ বিষয়। যে কোনও উঁচু বাড়ি বা বহুতলের ওপরেও পাখি উড়তে দেখা যায়। অথচ মূল মন্দিরের মাথার উপর দিয়ে নাকি কোনও পাখি ওড়ে না। কেন এমনটা হয় তাঁর উত্তরও অজানাই।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদের মাহাত্ম্য ছড়িয়ে জগৎ জুড়ে। একটা হাঁড়ির ওপর আরেকটা হাঁড়ি, তার ওপরে আরেকটা হাঁড়ি। নিচে দেওয়া আঁচ। অথচ মজার কথা হল আঁচ নিচে থাকলেও সবার প্রথম রান্না হয় ওপরের হাঁড়ির, একদম শেষে ফুট ধরে নিচের হাঁড়িতে।
সাধারণত উপকূলবর্তী এলাকায় দিনের বেলা সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে এবং রাতে স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে হাওয়া চলে। কিন্তু, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কাছে দিনে ও রাতে উল্টোদিকে হাওয়া চলে। যার কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরটি প্রায় ৪৫ তলা বাড়ির সমান উঁচু। সেই মন্দিরের একেবারে চূড়ায় লাগানো পতাকা। আশ্চর্যজনক বিষয় হল, যে দিকে হাওয়া চলে সবসময় তার বিপরীত দিকে পতাকাটি ওড়ে। কোন মন্ত্রবলে এমন হয় জানেন না কেউই।