কেষ্টকে 'লাস্ট ওয়ার্নিং' তৃণমূলের, কী কী কথা হল জেনে নিন
Credit- Social Media
TV9 Bangla
ডাকা হয়েছিল ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে। দলের ডাক পেয়ে কলকাতাতেও এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, কাজল শেখরা। কিন্তু, ফিরতে হচ্ছে বকা খেয়ে। তা নিয়ে এখন জোরদার চাপানউতোর ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে।
সদ্য বোলপুর থানার আইসি লিটন মণ্ডলকে কদর্য ভাষায় গালাগালি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেষ্টর বিরুদ্ধে। অডিয়ো বাইরে আসতেই দল থেকে অনুব্রতকে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। ক্ষমাও চেয়েছিলেন কেষ্ট।
যদিও পরে তাঁর অনুগামীরা আবার বলেছিলেন এর পিছনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাত রয়েছে। অডিয়োকাণ্ডের পরই থেকেই কার্যত অসুস্থ অনুব্রত মণ্ডল। চিকিৎসকেরা বেড রেস্টের কথা বলেছিলেন।
আর বিশেষ বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি একসময়ের বীরভূমের বেতাজ বাদশাকে। তবে তাঁকে নিয়ে দলের অস্বস্তি বাড়তেই থেকেছে। এরইমধ্যে আবার কাজল-অনুব্রত দ্বন্দ্ব নিয়েও দলের অস্বস্তি অনেকটাই বেড়েছে। বিজেপির দাবি, ভাইরাল অডিয়োকাণ্ডের পিছনে রয়েছে কাজল শেখের হাত।
এবার বীরভূম জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে উদ্যোগ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। তা নিয়েই চর্চা রাজনীতির আঙিনায়। সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ ভবানীপুরে গীতবিতান ভবনে অনুব্রত পৌঁছাতেই তাঁর সঙ্গে কাজলকে নিয়ে বেরিয়ে যান ফিরহাদ হাকিম।
সোজা চলে যান রাজ্য তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত বক্সির দফতরে। ছিলেন অরূপ বিশ্বাসও। বেশ কিছুক্ষণ বীরভূমের দুই নেতার সঙ্গে কথা বলেন। দেওয়া হয় কড়া বার্তা। কিন্তু ঠিক কী কী বলা হয়েছে?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্তে ঘামে তৈরি এই পার্টি। কারও ব্যক্তিগত ইগোর লড়াই লড়তে গিয়ে দলের ক্ষতি বরদাস্ত করা হবে না। কাজল অনুব্রতকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলের নেতারা।
অনুব্রতকেও চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুব্রত বক্সি। কু-কথা কাণ্ড নিয়ে দেওয়া হয়েছে লাস্ট ওয়ার্নিং। স্পষ্ট বলা হয়েছে এমনটা হলে আর বরদাস্ত করা হবে না। সোজা কথায় আর কোনও বেফাঁস মন্তব্য নয়। সব কিছু নিয়ে মুখ খোলা যাবে না। দল বিড়ম্বনায় পড়ে এমন কাজ করা যাবে না। জানানো হয়েছে সে কথাও।