একটি গাছেই ৩০০ রকমের আম ফলিয়েছেন, ভারতের 'ম্যাঙ্গো ম্যান'কে চেনেন?
credit:TV9
TV9 Bangla
গাছ একটা, অথচ তাতেই ফলছে প্রায় ৩০০ রকমের আম। শুনলেই কোনও গল্প কথা মনে হয়তো? কিন্তু বিষয়টা একেবারেই সত্যি। এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছেন উত্তরপ্রদেশের এক চাষী।
কালিম উল্লাহ খান, উত্তরপ্রদেশের মালিয়াবাদের বাসিন্দা। ১২০ বছরের পুরনো একটি আম গাছে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি, যাকে ম্যাজিক বললেও কম বলা হয়। নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে একটি গাছে ৩০০ রকমের আম ফলিয়েছেন উল্লাহ খান।
প্রত্যেকটি আমের স্বাদ, বর্ণ, গন্ধ সবই আলাদা। বহু দূর দূর থেকে মানুষ ছুটি আসেন শুধু এই অদ্ভুত আম গাছ দেখার জন্য। মাত্র ১৭ বছর বয়স থেকেই ফলের চাষ করেন উল্লাহ।
২০২৩-২৪ সালে ৪৭.৯৮ মিলিয়ন এবং ২০২৪ সালে ৬০.১৬ মিলিয়ন ডলারের আম রপ্তানি করেন তিনি। আম চাষে বিরল রেকর্ডের জন্য তাঁকে 'ম্যাঙ্গো ম্যান অব ইন্ডিয়া' বলা হয়।
ছোটবেলা থেকেই ফল চাষকে কেবল নিজের পেশা নয়, নেশা বানিয়ে তুলেছেন তিনি। তাই চাষের জমিতে চলত নিত্যনতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষাও। কেবল আম নয়, অনান্য ফলের চাষেও এগিয়ে উল্লাহ।
২০০৮ সালে আম চাষের ক্ষেত্রে এই অভিনব রেকর্ডের জন্য পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করা হয় উল্লাহ খানকে। নতুন নতুন আমের চাষ করাও তাঁর নেশা।
নিজের আবিষ্কার করা আমের নাম আবার আর পাঁচটা আমের মতো রাখেন না উল্লাহ। বদলে তারকাদের নামে রেখেছেন আমের নাম। যেমন ১৯৯৪ সালে একটি আমের নাম তিনি ঐশ্বর্য্য। কাকতালীয় ভাবে ওই সাল মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব জেতেন ঐশ্বর্য্য।
তাঁর আবিষ্কার করা আমের মধ্যে আছে সচিন তেন্ডুলকর এবং নরেন্দ্র মোদীও। সব মিলিয়ে আম চাষকে যে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন উল্লাহ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।