৩৫ হাজার টাকা দিলেই মিলবে আধার কার্ড। গোপনে মিলেছিল খবর। যোগাযোগ করা হয়, ঠিক হয় অগ্রিম দিতে হবে ১৭ হাজার টাকা। টাকা সময়ে ক্রেতারা পৌঁছন বাইপাস এলাকার বহুতলেও। আর তাতেই জাল আধার-ভোটার কার্ড,নথি তৈরি চক্রের পর্দাফাঁস!
শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায় একটি বহুতলে SOG, ভক্তিনগর থানার পুলিশ, আশিঘর আউটপোস্টের পুলিশের অভিযান যায়। এখনও পর্যন্ত ৭ জন পুলিশের জালে।
ইস্টার্ন বাইপাসের ঢাকেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন ঊষা ডিজিটাল ফটো স্টুডিও! মালিক চিত্তরঞ্জন সরকার। সামনে স্টুডিও আর তার আড়ালেই চলত ব্যবসা। অভিযোগ, তৈরি হত নকল আধার কার্ড,ভোটার কার্ড, কাস্ট সার্টিফিকেট।
গোপন সূত্রে খবর পায় স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ। এরপর হাতেনাতে ধরতে পাতা হয় ফাঁদ। ক্রেতা সেজেই যোগাযোগ করা হয় অভিযুক্তদের সঙ্গে। ফোনে হয় কথোপকথন।
ক্রেতা সেজেই আধার কার্ড তৈরির সেন্টারে যায় SOG। ১৭ হাজার টাকায় আধার কার্ড তৈরির ডিল হয়। এরপরেই হাতেনাতে ধরা হয় চিত্তরঞ্জন সরকার, ষষ্ঠী মণ্ডল, টিটু দাস-সহ ৭ জনকে।
ভক্তিনগর থানার আইসি অমিত অধিকারী জানান, এই চক্রে আরও কেউ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং ভক্তিনগর থানার পুলিশ।
আপাতত তল্লাশি চালিয়ে জাল আধার ছাড়াও ভোটার কার্ড কাস্ট সার্টিফিকেট উদ্ধার হয়েছে। দুটি কম্পিউটারে থরে থরে জাল আধার কার্ড মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের তৈরি করে দেওয়া হত এই সরকারি নথি। এখনও পর্যন্ত কাদেরকে আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।