13 JUN 2025

এক বিশেষ গুণ থাকলেই মেলে বিমানের এমারজেন্সি দরজার সামনের সিট!

credit:TV9

TV9 Bangla

একদম আপৎকালীন দরজার সামনের বসেছিলেন বিশ্বাসকুমার রমেশ। সিট নম্বর ১১এ। অভিশপ্ত এআই-১৭১ ফ্লাইটের একমাত্র জীবিত ব্যক্তিও তিনিই। কিন্তু চাইলেই এমারজেন্সি দরজার সামনের আসনে বসা যায় না। জানেন তাঁদের কী কী নিয়ম মানতে হয়?    

শারীরিক ভাবে সক্ষম হতে হবে। ওই যাত্রীকে সুস্থ ও সক্ষম হতে হবে। জরুরি মুহূর্তে দ্রুত দরজা খুলতে, যাত্রীদের বাইরে যেতে সহায়তা করতেও হতে পারে।

প্রাপ্ত বয়স হতে হয়। সাধারণত ১৫ বা ১৮ বছর বা এর ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের এই সিট দেওয়া হয়। এয়ারলাইন অনুযায়ী আলাদা নিয়ম হতে পারে।

নির্দেশনা বোঝার ও মানার ক্ষমতা থাকতে হবে। ক্রু-র দেওয়া নির্দেশ বুঝে সেই হিসাবে জরুরি পরিস্থিতিতে কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। এই ক্ষেত্রে ইংরেজি বোঝাটাও গুরুত্বপূর্ণ।  

অন্যকে সহায়তা করার মানসিকতা থাকতে হয়। কেবল নিজের প্রাণ বাঁচালে হবে না। অপর যাত্রী ও ক্রু-দেরও বাইরে যেতে বা নিরাপদে থাকতে সাহায্য করতে হতে পারে।

শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা থাকলে চলবেনা। এই ক্ষেত্রে এমারজেন্সি পরিস্থিতিতে বিপদ ঘটে যেতে পারে। ব্যাগ, হ্যান্ড ব্যাগ বা অন্যান্য জিনিস পায়ের কাছে বা এক্সিটের আশেপাশে রাখা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

যদি কেউ সব রকমভাবে সক্ষম না হন, ক্রু মেম্বাররা মনে করলে সকলের নিরাপত্তার খাতিরে ওই সিট বদলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারেন।

মনে রাখবেন বিমান ছাড়ার আগে কীভাবে বিপদের সময় নিজের প্রাণ বাঁচাতে হবে, এমারজেন্সি দরজা খুলতে হবে তা ক্রু মেম্বাররা বুঝিয়ে দেয়। তা ভাল করে মনে রাখবেন। নাহলে আপনার সঙ্গে সকলের বিপদ বাড়তে পারে।