শুনতে অবাক লাগলেও, শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় এখনও সচল রয়েছে। পৃথিবীর এই মন্দিরে রাখা রয়েছে অত্যন্ত যত্নে। কোথায় রাখা রয়েছে, তা জানলে অবাক হবেন।
এই মন্দির আর কোথাও নয়, রয়েছে পুরী মন্দিরের গর্ভগৃহে। শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় এই মন্দিরের এমন গোপন জায়গায় রয়েছে, যা এখনও পর্যন্ত সাধারণের নজরে আনা হয়নি।
পৌরাণিক কাহিনি মতে, এই মন্দিরে অধিষ্ঠিত জগন্নাথদেব আসলে শ্রীকৃষ্ণেরই অবতার। জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার সময় শ্রীকৃষ্ণের এই হৃদয়ই প্রতিষ্ঠা করা হয়।
সাধারণত নিমকাঠ দিয়ে তৈরি জগন্নাথদেবের মূর্তি গড়া হয় প্রতি ১২ বছর অন্তর। ২০১৫ সালে শেষ বার নবকলেবর তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময় সুরক্ষিত ব্রহ্ম পদার্থ স্থাপন করা হয়েছিল।
যাদব বংশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার শোকে একটি গাছের তলায় নিদ্রায় চলে যান শ্রীকৃষ্ণ। ঠিক সেই সময় ওই জরা কৃষ্ণের রক্তবর্ণ পা-কে হরিণ ভেবে বিষাক্ত তীর ছুঁরে মারেন।
আদেশানুসারে, কৃষ্ণের দেহ দান করেন পাণ্ডবরা। আগুনে পুরো শরীর ভষ্ম হলেও হৃত্পিণ্ড জ্বলন্ত অবস্থায় জ্বলতে থাকে। সচল ছিল তখনও।
সেইসময় আকাশবাণী হয়, এই হৃদয় হল ব্রহ্ম হৃদয়। আগুন দেহ পুড়লেও এই হৃদয় কখনও পুড়ে ছাই হবে না। গঙ্গা ভাসিয়ে দেওয়া উচিত।
দ্বারকা জলের নীচে চলে গেলে ওই হৃদয় একটি নরম লোহার টুকরোয় পরিণত হয়। একবার সমুদ্রে স্নান করার সময় রাজা ইন্দ্রদ্যুমের হাতে এসে পড়ে সেই লোহার টুকরো।
স্বপ্নাদেশে শ্রীকৃষ্ণ নির্দেশ দেন, মন্দিরে কাঠের দেব-দেবীর মূর্তি তৈরি করে এই নরম লোহার অংশ ব্রহ্ম পদার্থ হিসেবে স্থাপন করতে। সেই থেকে পুরীর মন্দিরে জগন্নাথদেবের মূর্তির মধ্য়ে শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় প্রতিষ্ঠা করা হয় এখনও।