সারাদিনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হল জলখাবার। পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সুস্থ ও পুষ্টিকর জলখাবার শরীরের বিপাক ক্রিয়া শুরু করতে সাহায্য করে এবং মাথাব্যথা, হজমের সমস্যা ও অম্লতার মতো নানা সমস্যা এড়াতে সাহায্য করে।
যাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনেকটাই বেশি, তাঁদের জন্য বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ জলখাবার। ঘন ঘন বা হঠাৎ সুগার লেভেল বাড়লে তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রথম ধাপ হল জিভেরাশ টানা।
নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করা মানেই বিস্বাদ খাবার গ্রহণ নয়। তার চেয়ে বরং জলখাবারটা সারতে পারেন সুস্বাদু এই সব স্মুদি দিয়ে। রইল ৫ ডায়াবেটিস স্মুদির হদিস।
গ্রিন স্মুদি - পালং শাকে কার্বোহাইড্রেট কম। আছে যথেষ্ট ফাইবার। যা সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে উপযোগী। অ্যাভোকাডো শরীরকে ভাল ফ্যাটে সমৃদ্ধ। সুগার শোষণের গতি ধীর করে। চাইলে এই দুইয়ের সঙ্গে চিয়া বীজও মিশিয়ে নিতে পারবেন।
বেরির সঙ্গে গ্রিক দই স্মুদি - স্ট্রবেরি, র্যাসবেরি বা ব্লুবেরিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও স্বল্প গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। গ্রিক দই শরীরকে প্রোটিন ও ভাল ব্যাক্টেরিয়া সরবরাহ করে, যা হজমে ও সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
চিয়া বীজ ও আমন্ড মিল্ক স্মুদি - চিয়া বীজ ফাইবারের ভাল উৎস। হজমশক্তি উন্নত হয়। সুগার হুট করে বাড়তে পারে না। সারারাত ভেজানো চিয়া বীজ আমন্ড মিল্ক ও সামান্য বেরির সঙ্গে মিশিয়ে সুস্বাদু স্মুদি তৈরি করতে পারেন। চাইলে কলাও দিতে পারেন।
ওটস ও ফ্ল্যাক্সসিড স্মুদি - পুরো ওটস ধীরে হজম হয়, যা সুগার লেভেলকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে। অপর দিকে ফ্ল্যাক্সসিডে রয়েছে ভাল ফ্যাট ও ফাইবার। এর সঙ্গে আমন্ড বা সয়া মিল্ক ও সামান্য দারচিনি মিশিয়ে নিতে পারেন বিশেষ স্বাদের জন্য।
টোফু বা নাট বাটার স্মুদি - সুগার ফ্রি নাট বাটার যেমন আলমন্ড বা পিনাট বাটার ও টোফু শরীরে ভাল ফ্যাট ও প্রোটিনে সরবহাহ করে। এগুলি সুগার স্পাইক হওয়া আটকাতে সাহায্য করে।