মৃত্যুর পর হিন্দুদের পিণ্ডদান না হলে কী হয়? গরুড় পুরাণ বলছে...
TV9 Bangla
Credit - Pinterest, X
গরুড় পুরাণে নানা বিষয়ের ব্যাখা রয়েছে। সেখানে পিণ্ডদানের গুরুত্ব নিয়েও বলা হয়েছে। হিন্দুশাস্ত্রের বিভিন্ন জায়গাতেও পিণ্ডদানের কথা উল্লেখ রয়েছে।
আসলে হিন্দুধর্মে কারও মৃত্যুর পর পিণ্ডদান করা হয়। সেই ব্যক্তির মৃত্যু অস্বাভাবিক হোক বা স্বাভাবিক, যেভাবেই হোক আত্মার সদগতির জন্য পিণ্ডদানের নিয়ম রয়েছে।
পিণ্ড কী? তা হল সিদ্ধ আতপ চাল, ঘি, কালো তিলের বা কখনও যবের একখানা মিশ্রণ। হিন্দুধর্মে কোনও মৃতদেহ দাহের আগেই একবার পিণ্ড দান করতে হয়।
গরুড় পুরাণ বলছে, সদ্য প্রয়াত আত্মাকে পিণ্ড নিবেদন করলে ওই আত্মাকে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার পথ দেখানো যায়।
গরুড় পুরাণে এও উল্লেখ রয়েছে যে, কারও মৃত্যুর পর সেই মৃত ব্যক্তির উদ্দেশে পিণ্ডদান যদি না করা হয় তা হলে, ওই ব্যক্তির প্রেতত্ব মোচন হয় না।
মৃত মানুষের সুক্ষ্মদেহী আত্মা পিণ্ডের মাধ্যমে ধীরে ধীরে শরীর পায়। গরুড় পুরাণে বলা রয়েছে, সন্তানের দ্বারা মা বা বাবার উদ্দেশে দেওয়া পিণ্ড ৪ ভাগে ভাগ করা হয়। তার মধ্যে ২টো প্রেতের শরীরের পঞ্চভূতের পুষ্টি দেয়।
যমদূতের কাছে যায় পিণ্ডের তৃতীয় অংশ। শেষ অর্থাৎ চতুর্থ অংশটি প্রেত রূপী জীবের খাদ্য। পুরাণে বলা হয়েছে, ৯ রাত এবং দিনে পিণ্ড লাভ করার মাধ্যমে প্রেতের শরীর তৈরি হয়।
দশম দিনে পিণ্ড প্রেতের শরীরকে শক্তি দেয়। গরুড় পুরাণে বলা বয়েছে, পিণ্ড দ্বারা শরীর তৈরি হওয়ার পর ১১তম ও ১২তম দিনে তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত জীবাত্মা খাবার খায়।
১৩তম দিনে যমদূতের পাশে সেই নতুন তৈরি হওয়া শরীর যমমার্গে যায়। পিণ্ডলাভের জন্য যমলোকে যাওয়ার সময় সেই প্রাণী শুভ বা অশুভ কর্মফল ভোগ করে।
বিঃ দ্রঃ - এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা হিন্দুধর্মের বিশ্বাস ও গরুড় পুরাণ থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।