শেষ জীবনে কর্ণ কী দান করায় মুগ্ধ হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ?
credit:Scenes From Mahabharata Serial
TV9 Bangla
জীবন তাঁর সঙ্গে অনেক অন্যায় করেছে। বাধ্য করেছে অধর্মের পথে চলতে। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও বঞ্চিত সব কিছু থেকে। কথা হচ্ছে মহাভারতে অন্যতম বীর চরিত্র কর্ণকে নিয়ে।
কোনও মানুষ কী রকম পোশাক পরেন, কী রঙের পোশাক পরতে ভালবাসেন, তা কিন্তু তাঁর সম্পর্কে অনেক কথা বলে দিতে পারে।
কুন্তির জেষ্ঠ্য পুত্র, পান্ডবদের বড় দাদা কর্ণ একদিকে যেমন বীর ছিলেন তেমনই অন্য দিকে দয়ালু। তাই তাঁকে দানবীর কর্ণ বলা হত। তিনি নাকি কখনও কাউকে খালি হতে ফেরাননি।
কর্ণ ছিলেন স্বয়ং সূর্য দেবের অংশ। পুত্রের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তাই তাঁকে বিশেষ কানের দুল এবং বর্ম দিয়েছিলেন সূর্য দেব। যত এই দুটি জিনিস তাঁর গায়ে ছিল তত দিন কেউ কোনও ক্ষতি করতে পারেনি তাঁর।
কর্ণকে মারতে হলে তাঁর সেই কানের দুল এবং বর্ম কর্ণের থেকে নিয়ে নেওয়া জরুরি ছিল। না হলে তাঁকে কোনও দিন পরাজিত করা যেত না।
কৃষ্ণের পরামর্শে দেবরাজ ইন্দ্র কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের আগে ছদ্মবেশে কর্ণের থেকে তাঁর বর্ম ও কানের দুল চেয়ে নেন। এর পরেই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনের কাছে পরাজিত হন কর্ণ।
কর্ণ যখন শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছেন তখন শ্রী কৃষ্ণ ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে তাঁর কাছে গিয়ে ভিক্ষা চান। তিনি বলেন আমি তোমার কাছে দান খয়রাত চাইতে এসেছি, তবে তোমার এই অবস্থায় তুমি আর কী বা দেবে?
এই কথা শুনে নিজের দাঁত ভেঙে ব্রাহ্মণকে দেন কর্ণ। তাঁর দানশীলতা দেখে মুগ্ধ হয়ে নিজের বাস্তব রূপে দেখা দেন শ্রীকৃষ্ণ। কর্ণকে বর চাওয়ার কথা বলেন।
বর হিসাবে কর্ণ বলেন,তাঁর শেষ কৃত্য যেন সম্পন্ন করেন শ্রীকৃষ্ণ, তাঁর শ্রেণীর লোকেরা যেন ভাল থাকেন। এর পরেই কর্ণের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন শ্রীকৃষ্ণ।