লক্ষ্মীপুজোয় সঠিক আলপনাতেই ফিরবে কপাল, বাড়বে সম্পদ!
credit: TV9
TV9 Bangla Desk
লক্ষ্মীপুজোর এক অনন্য অংশ আলপনা। দেবীর বেদি, পুজোর জায়গা, ঘট স্থাপনের স্থান, বাড়ির মূল দরজা এবং ঘরের চৌকাঠে আলপনা দেওয়ার চল সেই প্রাচীনকাল থেকেই। যদিও আজকাল অনেকেই রেডিমেড আলপনা স্টিকার লাগিয়ে ছেড়ে দেন। তবে সেই সৌন্দর্য্য থাকে না।
লক্ষ্মীপুজো ও আলপনা
চালের গুঁড়ো বা খড়িমাটি দিয়ে আলপনা দেওয়ার আনন্দটাই আলাদা। আজও বহু বাড়িতে নিয়ম মেনেই আলপনা দেওয়ার চল রয়েছে।
কীসের আলপনা দেবেন?
এক্ষেত্রে প্রশ্ন একটাই, কোন নকশা করবেন, তা ভেবে পান না অনেকেই। বাস্তুশাস্ত্র বলছে ভুল নকশা আঁকলে হতে পারে হিতে বিপরীত। তাহলে লক্ষ্মীপুজোয় কেমন নকশা আঁকা ভাল?
কোন নকশা
লক্ষ্মীর বাহন স্বয়ং পেঁচা। কোজাগরি লক্ষ্মীপুজোর দিনে বাড়িতে পেঁচার আলপনা দেওয়া অত্যন্ত শুভ বলে গণ্য করা হয়।
পেঁচা
দেখতে দেখতে শেষ পুজো। এবার চোখের জলে মাকে বিদায় জানানোর পালা। সঙ্গে শুরু এক বছরের অপেক্ষা। আবার কবে আসবে মা, এই একটাই প্রশ্ন এখন সব বাঙালির মনে। চলুন জেনে নেওয়া যাক দুর্গাপুজো ২০২৬-এর নির্ঘন্ট।
দশমীর সুর
লক্ষ্মীপুজোয় আলপনায় কিন্তু লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ মাস্ট। মাকে নিজ গৃহে আহ্বান জানাতে বাড়ির চৌকাঠে এবং পুজো যেখানে করছেন সেই বেদির সামনে লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আলপনা দিন।
লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ
লক্ষ্মী সম্পদ এবং সমৃদ্ধির দেবী। তাঁর হাতেও থাকে লক্ষ্মীর ঝাঁপি। লক্ষ্মীপুজোতেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ধানের শিষ। তাই এই পুজোর আলপনাতেও ধানের শিষ থাকাটা ভাল।
ধানের শিষ
অনেক বাঙাল বাড়িতেই লক্ষ্মীপুজোয় জোড়া ইলিশ নিবেদনের প্রথা রয়েছে। পুজোতে মাছ উৎসর্গ করা হলে আলপনাতেও সেই নকশার আঁকার দেওয়া হয়।
মাছ
দেবী লক্ষ্মী পদ্মের উপরে অধিষ্ঠাত্রী। লক্ষ্মীপুজোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল পদ্ম। সেই পদ্ম আলপনাতেও ফুটে উঠলে তা ইতিবাচক শক্তি বজায় রাখে বলে মনে করেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা।
পদ্মফুল
লক্ষ্মীপুজোয় ঢাক-ঢোলের আড়ম্বর থাকে না। শুধুমাত্র শঙ্খ-পদ্ম-চক্র দিয়েই সারা হয় পুজো। তাই আলপনাতেও শঙ্খের প্রতীকী নকশা যেতে পারে।