রাত ফুরোলেই নববর্ষ। অবশ্য এটাকে বাঙালির নতুন আর্থিক বছরের সূচনা বললেও ভুল বলা হয় না। দোকানে দোকানে পুজো করে প্রতিষ্ঠা করা হয় লক্ষ্মী-গণেশকে। শুরু হয় নতুন হালখাতা।
লাল শালুতে মোড়া সেই খাতা যেন আজও নস্ট্যালজিয়া। সময়ের সঙ্গে ডিজিটাল প্রকোপ বাড়লেও জৌলুস কাড়তে পারেনি হালখাতার। বিশেষ করে বাবার হাত ধরে হালখাতার নেমন্তন্ন রক্ষার সেই দিন আজও অমলিন হয়ে রয়েছে বাঙালি সংস্কৃতিতে।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। সব পার্বণ ম্লান খাওয়া দাওয়া ছাড়া। তেমনই বাঙালির প্রত্যেক পার্বণের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা পদের সম্ভার। যেমন ধরুন পৌষ সংক্রান্তির সময়ে পিঠে।
বাংলা নববর্ষের জন্য রয়েছে বিশেষ মেনু। নতুন বছরের প্রথম দিনে সেই সব পদ না খেলে কিন্তু সবটাই বৃথা! জানেন নববর্ষের আদর্শ মেনু কী হওয়া উচিত।
সকালটা বরং শুরু করুন ফুলকো গরম লুচি এবং সাদা আলুর চচ্চরির সঙ্গে। কালো জিরে আর কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে রাঁধা। একটু বাদে এই গরমে শরীর ঠান্ডা করার জন্য চাই এক গ্লাস ঘোল।
দুপুরেও চাই সম্পূর্ণ বাঙালি খানা। শুরু করুন সুগন্ধী বাসমতি চালের ভাত, সঙ্গে সামান্য ঘি ছড়ানো। সঙ্গে আলু, পটল ভাজা। এরপর শুক্তো মাস্ট! তারপর ডাল, একটা নিরামিষ তরকারি। তারপরে চলে আসুন সোজা মাছে। এবেলাটা মাছেই থাকুন!
চিংড়ির মালাইকারি, চিতলের মুইঠ্যা, দই কাতলা বা ইলিশের কোনও পদ। যেটা আপনার পছন্দ! চাইলে দুটো মাছ রাখতে পারেন। শেষ পাতে চাটনি আর পাঁপড় দিয়ে শেষ করুন! ওহঃ মিষ্টি মুখটা করতে ভরসা রাখুন দইয়ের উপর।
রাতের খাওয়া দাওয়াটা জমে উঠুক পরোটা আর মাংসের সঙ্গে। ত্রিকোণা পরোটা, লম্বা করে কাটা বোঁটা শুদ্ধু বেগুন ভাজা আর তারপরেই আলু দিয়ে রান্না করা কষা মটন অথবা চিকেন। যেটা পছন্দ! শেষ পাতে চিরন্তন রসগোল্লা! ব্যস তাহলে ষোল কলা পূর্ণ।