শীতকাল আসলেই এক সমস্যা। কিছুতেই স্নান করতে ইচ্ছে করে না। অনেকে আবার আছেন যাঁরা শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা ৩ ঋতুতেই ঠান্ডা জলে স্নান করেন।
তবে শীতকালে স্নান করার কারণেও কিন্তু হতে পারে শরীর খারাপ। তাই যতই ঠান্ডা পড়ুক না কেন, স্নান করাটা যেমন জরুরি, তেমনই কিছু নিয়ম মানাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
যখন ইচ্ছে স্নান করবেন না। সকাল, দুপুর, রাত বিভিন্ন সময়ে স্নান করার অভ্যাস ভাল নয়। দিনে দু'বার স্নান করলেও বাইরে থেকে ঘুরে এসেই নয়, একটু জিরিয়ে নিয়ে স্নান করুন।
গরম কালেও বাইরে থেকে এসেই স্নান করবেন না। কিছুক্ষণ পাখার তলায় বসে ঠান্ডা হয়ে, তারপর স্নান করুন। এতে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
শীতকালে অনেকেই গরম জলে স্নান করেন। তবে এই সময় খুব ঠান্ডা বা খুব গরম জলে স্নান করা একদম উচিত নয়।
বেশি গরম জলে স্নান করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকের প্রদাহ বাড়ে, চুলকানির সমস্ দেখা দিতে পারে। ইষদুষ্ণ জলে স্নান করুন, তাতে ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে না, ক্লান্তি কেটে যায়।
বডি ওয়াশ, শাওয়ার জেল যাই হোক না কেন এগুলো মাখার জন্য লুফা ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের মৃত কোষ ধুয়ে যায়, ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়।
গা-মাথা মুছে ভিজে তোয়ালে সরাসরি শুকনো করতে দেবেন না। আগে ওই ভাল করে ধুয়ে নিন। তারপর শুকিয়ে নিন। ভিজে গামছায় ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক জন্মাতে পারে।