কুম্ভ মেলার প্রথম দিন থেকেই উপচে পড়ছে ভিড়। অমৃতস্নানের জন্য ভিড় করেছেন কোটি কোটি ভক্ত। সঙ্গে জড়ো হয়েছেন অসংখ্য নাগা সাধু। রয়েছেন মহিলা নাগা সাধুরা।
নাগা সাধুদের মধ্যে কেউ হন বস্ত্রধারী তো কেউ আবার দিগম্বর বস্ত্রহীন। অনেক মহিলাও সংসারের মোহ মায়া ত্যাগ করে সন্ন্যাসে দীক্ষা নেন। বেছে নেন নাগা সন্ন্যাসী হওয়ার পথ।
তবে মনে রাখবেন নাগা সন্ন্যাসী হলেও তাঁরা কিন্তু উলঙ্গ হয়ে ঘোরেন না মোটেও। তাঁরা সবাই পোশাক পরেই থাকেন। মহিলা নাগা সন্ন্যাসীদের পোশাক পরার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।
মহিলা নাগা সন্ন্যাসীরা একটি মাত্র কাপড় পরার অনুমতি পান। নিয়ম অনুসারে সেই কাপড়ে কোনও জোড়া বা সেলাই থাকাও চলবে না। কাপড়ের রং হতে হবে গেরুয়া।
মহিলা নাগা সাধুরা সেলাইবিহীন যে কাপড় পরেন, তাকে গাঁটি বলে। নাগা সাধু হওয়ার আগে, একজন মহিলাকে ৬ থেকে ১২ বছর ব্রহ্মচর্য পালন করতে হয়।
ব্রহ্মচর্য পালন শেষ হলে তবেই মহিলা নাগা গুরু নাগা সন্ন্যাসী হওয়ার অনুমতি দেন। মহিলা নাগা সন্ন্যাসীদের কপালে থাকে তিলক। নাগা সাধু হওয়াড় আগে প্রমাণ করতে হয় তিনি সম্পূর্ণ ঈশ্বরের কাছে সমর্পিত। পার্থিব আসক্তির অবসান হয়েছে
এঁদের নিজেকেই নিজের পিন্ড দান করতে হয়। অতীত জীবনকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হয়। আখড়ার সর্বোচ্চ আধিকারিক আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর দ্বারা মহিলাদের ভিক্ষুতে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
মহিলা নাগা সাধুরা ভোরবেলা নদীতে স্নান করে। তারপর ধ্যান শুরু করেন। সারাদিন চলে ভগবানের নাম জপ। সকালে ঘুম থেকে উঠে শিবের পুজো করতে হয়। সন্ধ্যায় ভগবান দত্তাত্রেয়ের পুজো করেন এঁরা।