পেঁয়াজ কাটার আগে খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর টুকরো করে জলে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ ভেজার পর জল বদলে দিন। এতে পেঁয়াজ থেকে সবটুকু সালফার যৌগই প্রায় বেরিয়ে যায়।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে ঘণ্টাখানেক ডিপ ফ্রিজারে রাখুন। ফ্রিজ থেকে বের করে পেঁয়াজ কাটলে চোখে আর জল আসবে না।
পেঁয়াজ কাটার সময়ে যত ধারালো ছুরি ব্যবহার করবেন, ততই কম কাঁদতে হবে। কারণ পেঁয়াজের কোষে কম ক্ষতি করে ধারালো ছুরি। তাই খুব বেশি এনজাইম বের হয় না।
পেঁয়াজ কাটার সময় গোড়ার অংশটা কেটে ফেলে দিন। পেঁয়াজের বেশির ভাগ উৎসেচক গোড়ার দিকেই থাকে। খোলা জায়গা যেমন জানালার পাশে বা ভেন্টিলেটর চালু করে পেঁয়াজ কাটুন। এতে পেঁয়াজের চোখ জ্বালানি গ্যাস তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যায়।
মোমবাতি জ্বালিয়ে কিংবা গ্যাসের আঁচের সামনে রেখে পেঁয়াজ কাটুন। এতে আগুনের শিখা পেঁয়াজের সারফার গ্যাস টেনে নেবে। প্রথমে পেঁয়াজ দু’টুকরো করে কাটা দিকটি ঘুরিয়ে চপিং বোর্ডের উপর রাখুন।
কাটা দিকটি উন্মুক্ত থাকলেই সমস্যা হবে।আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে জলে ভেজানো অবস্থায় কাটা। একটি বাটিতে জল নিয়ে পেঁয়াজ রাখুন।
জলে থাকা অবস্থায়ই কেটে ফেলুন। চোখ জ্বালা করবে না। ফ্যানের নীচে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কাটলেও চোখ জ্বালা তুলনামূলক কম হয়।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে মাইক্রোওয়েভে ৩০ সেকেন্ড ঘুরিয়ে নিন। তারপর কাটুন। আর চোখে জল আসবে না, আর কোনওরকম সমস্যাও হবে না।