মধুর চাহিদা সারা বছরই গৃহস্থ ঘরে থাকে। ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির সমস্যায়, মেদ ঝরাতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, বিভিন্ন সংক্রমণ রুখতে মধুর জুড়ি মেলা ভার
মধু অ্যান্টিসেপ্টিকেরও কাজ করে। তাই ক্ষত সারাতেও বেশ উপকারী এই মধু।এখন বাজারে নানান রঙের মোড়কে মধু পাওয়া যায়। বহু নামী কোম্পানির মধুতেও মেলে প্রচুর ভেজাল।তা হলে খাঁটি মধু চিনবেন কী করে?
এক গ্লাস জলে এক চামচ মধু দিন ও গ্লাসটি নাড়াতে থাকুন।মধু যদি খাঁটি হয় তবে এটি গোলকার পিণ্ডের মতো হয়ে গ্লাসের নীচে থাকবে এবং জলের সঙ্গে মিশবে না।মধু যদি জলের সঙ্গে তাড়াতাড়ি মিশে যায়,তাহলে সেটি নকল
এক টুকরো কাগজের উপর কয়েক ফোঁটা মধু দিন। খাঁটি মধু হলে তা ছড়িয়ে পড়বে না এবং কাগজে শোষিত হবে না। এক জায়গায় অক্ষত থাকবে। এতে কাগজ হালকা চটচটে হয়ে যেতে পারে
মধু খাঁটি কিনা তা পরীক্ষা করতে, আপনার বুড়ো আঙুলে এক ফোঁটা মধু নিন। যদি খুব চটচট করে এবং আঠালো মনে হয়, তবে সেই মধু খাঁটি। তবে মধু যদি জলের মতো লাগে, তাহলে তা নকল।
খাঁটি মধুতে খুব মিষ্টি এবং মনোরম সুগন্ধ রয়েছে। অল্প পরিমাণে মধু মুখে দিয়ে দেখুন, যদি তাতে ফুল বা ফলের মতো মিষ্টি গন্ধ থাকে, তবে তা খাঁটি
আর, মধু ভেজাল হলে তার স্বাদ অতিরিক্ত মিষ্টি হতে পারে, অথবা মধুতে আরও কিছু উপাদান থাকার কারণে তার স্বাদ কম হতে পারে
মোমবাতির সলতে মধুতে ডুবিয়ে সেটা জ্বালানোর চেষ্টা করুন। যদি তা জ্বালাতে সক্ষম হন, তা হলে বুঝবেন এই মধু খাঁটি। আর যদি মোমবাতি না জ্বলে, তাহলে সেই মধুতে ভেজাল রয়েছে