বাড়িতে পাতা দইয়ের স্বাদ আলাদা হয়। তাই একটু সময়সাপেক্ষ হলেও বাড়িতেই পেতে ফেলুন মিষ্টি দই।
দই সবচেয়ে ভালো বসবে মাটি বা পাথরের বাসনে। কারণ তা সচ্ছিদ্র, বাড়তি জলীয় অংশ টেনে নেবে। যদি তা না থাকে তবে স্টিল বা কাচের বাসনেও বসাতে পারেন।
এই দই বানাতে লাগবে ২ লিটার দুধ, ১ বড় কাপ চিনি, আধ কাপ জল ঝরানো টক দই। এ বার আসা যাক রেসিপিতে।
বাড়িতে পাতা টক দই বা প্যাকেটের দই কিনে জল ঝরিয়ে নিন। ছাঁকনির উপর দই রাখলেও চলবে, সারা রাতে জল বেরিয়ে যাবে। এবার দুধ জ্বাল দিতে বসান।
গ্যাস বাড়িয়ে রাখুন এবং হাতা দিয়ে লাগাতার নাড়ুন। দুধ ফুটতে ফুটতে ঘন লালচে হয়ে এলে নামিয়ে নিন। অর্ধেক চিনি মেশান। বার বার নাড়তে হবে, সর পড়লে খেতে ভালো লাগবে না।
যাঁরা সাদা দইয়ের ভক্ত, তাঁরা পুরো চিনিটাই মেশান। লাল দইয়ে আরও একটু পরিশ্রম আছে। একটা নন-স্টিক প্যান আঁচে বসান, বাকি চিনিটা ঢালুন। খুব ধীর গতিতে চিনি গরম হবে, তার পর পুড়ে প্রথমে সোনালি ও পরে লালচে রং ধরবে।
চিনি খুব দ্রুত গলে যাবে, দরকারে এই পর্যায়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। ক্যারেমেলের লালচে সোনালি রংটাই দরকার, তার চেয়ে গাঢ় হলে লাল দইয়ের মজাটাই থাকবে না। এরমধ্যে দুধ মেশান ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন। ফের খানিকক্ষণ জ্বাল দিতে হবে, দুধ আরও মরে আসবে।
এ বার নামিয়ে রাখুন। একটা সময়ে দুধ ঠান্ডা হয়ে আসবে, সামান্য গরম অবস্থায় টক দই মেশান। মেশানোর আগে টক দই ভালো করে ফেটিয়ে নিন। দুধে খুব ভালো করে টক দই মিশে গেলেই হয়ে যাবে।
আরেকটি বড় পাত্রে ঢেলে চাপা দিয়ে রান্নাঘরের কোণে রাখুন। ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যেই দই বসে যাবে। এরপর ডেজার্টে পরিবেশন করুন মিষ্টি দই।