গুণের শেষ নেই শসার। শসা যেমন শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী, তেমন আবার দৈনন্দিন জীবনযাপনে শসার খোসাও খুবই কার্যকরী।
তবে বেশিরভাগ মানুষই শসা খেয়ে তার খোসাট ফেলে দেন। জানেন কি এই খোসা ঠিক কতটা কাজের? জানলে আর ফেলবেন না।
শসার মতো এর খোসাও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে পাওয়া যায় ফাইবার,পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সিলিকা। জেনে নিন শসার খোসা কাজে লাগানোর কিছু উপায় সম্পর্কে।
শসার খোসা গাছের সার হিসেবে দারুণ কাজ করে। এটি মাটিতে মিশে গিয়ে মাটির উর্বরতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে গাছ তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে।
শসার খোসা ছাড়ানোর পর সেগুলো টুকরো টুকরো করে মাটিতে ছড়িয়ে দিন। গাছে পোকামাকড় থাকলে সেগুলোও দূর হবে।
এ ছাড়া শসার খোসা অ্যালকালয়েড হিসেবে কাজ করে। তাই কোনও ব্যাকটেরিয়া গাছে আক্রমণ করতে পারে না। ফলে গাছ সুস্থ থাকে।
শসার খোসার জলও গাছের জন্য উপকারী। খোসা ছাড়িয়ে একটি জল ভরা বোতলে এটি ৫ দিন ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ছেঁকে গাছে দিন। এই জলে থাকে পটাশিয়াম ও ফসফরাস। গাছের বৃদ্ধির জন্য এই দুটি উপাদানই যথেষ্ট উপকারী।
ত্বকের যত্নে কাজে লাগাতে পারেন শসার খোসা। এজন্য খোসা বেটে মধু ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এতে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও কোমল।
শসার খোসা ঠান্ডা করে চোখের উপর দিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। তারপর ধুয়ে নিন। এতে চোখের ফোলাভাব কমবে ও সারাদিনের ক্লান্তি দূর হবে।