শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার অভাব থাকে। যার প্রভাব পড়ে চুল ও ত্বকের উপর। এইসময় চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই চুলের ফাটা ডগাগুলি বেশি চোখে পড়ে।
গরমে এই সমস্যা ততটা চোখে পড়ে না। অনেক সময়েই দেখা যায়, গোড়া থেকে চুল না উঠে এই ফাটা অংশ থেকে চুল ভেঙে গিয়ে ঝরে পড়ে।
যাঁরা চুল লম্বা করবেন বলে ভাবছেন, তাঁদের জন্য চুলের ডগা ফাটার সমস্যা যথেষ্ট ক্ষতিকর। এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী? জেনে নিন ঝটপট।
অনেকেই বলেন নির্দিষ্ট সময় অন্তর চুল কাটলে চুলের এই সমস্যা এড়িয়ে চলা যায়। অনেকে আবার চুল কাটার পর সেই কাটা অংশে নারকেল তেলও মেখে রাখেন। যার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
রান্নাঘরের কিছু সহজলভ্য সামগ্রী দিয়ে অনায়াসেই বানিয়ে ফেলুন এই প্যাক। দুই টেবিল চামচ টক দই, এক টেবিল চামচ নারকেল তেল, এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানান।
গন্ধে সমস্যা না থাকলে ডিমের কুসুমও মেশাতে পারেন। চুলের ডগা ফাটা রোধ করতে যেমন কার্যকর, ঠিক তেমনই চুল মোলায়েম করতেও সাহায্য করে এই প্যাক।
স্নানের পর তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চুল ঝাড়বেন না। চুল থেকে তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চেপে চেপে জল মুছে নিতে পারেন। গেঞ্জি কাপড় হলে সব থেকে ভালো।
চুলে বেশি সময় ধরে তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখাও উচিত নয়। চুল মোছার জন্য মাইক্রোফাইবারজাতীয় তোয়ালেও ব্যবহার করতে পারেন।