শরীরের জন্য মধুর উপকারিতা অজানা নয় কারও। কিন্তু জানেন কি শরীরের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও ভীষণ উপকারী মধু?
ত্বক পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে পারে মধু। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। আছে বহু ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। সব মিলে ত্বক থেকে জীবাণু দূর করে। আবার ত্বক আর্দ্রও রাখে।
ত্বক টানটান করতেও সাহায্য করে মধু। এতে উপস্থিত প্রোবায়োটিক ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকে পুষ্টি জোগায়। তাতে ত্বক মসৃণ ও টানটান থাকে। দাগছোপ কম পড়ে। ফলে ত্বকে বার্ধক্য আসে দেরিতে।
প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটরের কাজ করে মধু। ত্বকের অস্বস্তি ও জ্বালাভাব দূর করতে সাহায্য করে। মধু মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন অথবা এর সঙ্গে অ্যাভোকাডো, লেবু বা অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
মধু ত্বকের ব্রণ দূর করতে কার্যকার ভূমিকা পালন করে। এর প্রদাহরোধী উপাদান ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে এবং প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখে।
এ ছাড়াও ত্বকের কড়া দাগ ও ‘ব্রেক আউট’ দূর করতে এমনকি ত্বকের একজিমা বা সিরোসিস উপশমেও সহায়তা করে মধু। মধুর আরামদায়ক ক্ষমতা দ্রুত ত্বকের ক্ষত সারায়।
ত্বক যত্নে রাখার জন্য নিয়মিত মৃত কোষ অপসারণ করা দরকার। মধু এই কাজে বেশ সক্ষম। তাই মুখে কিছু ক্ষণ মধু মেখে রেখে তার পর ধুয়ে ফেললে ত্বকের জেল্লা ফিরে আসে।
একই কারণে মুখের কোনও মাস্ক তৈরি করলে অল্প মধু দিয়ে দেওয়া হয়। কম সময়ে ঔজ্জ্বল্য ফিরে পেতে অ্যাভোক্যাডো, লেবুর রস কিংবা অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।