অতিরিক্ত গরমে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন অবস্থায় যে কেউ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। কারও কারও মাথা ঘুরতে পারে।
এ ছাড়া মাথাব্যথা, ক্লান্তি, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, হিট স্ট্রোক, বমি, পেশিতে খিঁচুনি হতে পারে, শরীর দুর্বল লাগতে পারে, জ্বরও হতে পারে।
ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা থেকে নিজেকে রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে কিছু টিপস মেনে চললে শরীর ঠান্ডা হতে পারে।
ম্যাক্স হাসপাতালের চিকিৎসক রোহিত কাপুর জানিয়েছেন, গ্রীষ্মকালে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ঘাম হিসেবে বেরিয়ে যায়।
এই পরিস্থিতিতে ক্লান্তি, মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হতে পারে। দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস জল পান করা জরুরি। এ ছাড়া নারকেল জল, বাটার মিল্ক ও লেবু জলও গরমে শরীরের জন্য উপকারী।
দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টের মধ্যে সূর্যের রশ্মি সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সময় তাই বাইরে বেরোলে শরীরের উপর সরাসরি তাপের প্রভাব পড়বে। ওই সময় বাইরে বেরনোর প্রয়োজন হলে টুপি সঙ্গে রাখা উচিত।
গ্রীষ্মকালে ভাজা, মশলাদার খাবার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এই সময় জলজ ফল যেমন - তরমুজ, শসা খাওয়া ভালো। এ ছাড়া আমপান্না, দই, স্যালাড, সবুজ শাকসব্জিও খাওয়া ভালো।
গ্রীষ্মকালে সুতি ও হালকা রঙের পোশাক পরা ভালো। এই রকম পোশাক পরলে শরীর ভালো থাকে। এই ধরনের পোশাক সহজেই ঘাম শুষে নেয়।
গরমকালে দিনে একবারের জায়গায় ২ বার ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করতে পারেন। যে কোনও ব্যক্তি সতেজ বোধ করবেন। যদি ঠান্ডা লাগার ধাত থাকে, তাহলে দিনে দু'বারের জায়গায় একবার ঠান্ডা জলে স্নান করতে পারেন।