বর্ষাকালে অনিচ্ছাকৃতভাবে বৃষ্টির জলে ভিজে যাওয়া অস্বাভাবিক কোনও ব্যপার নয়। অনেকেই ভাবেন, এই ভেজায় ক্ষতি নেই। এই ধারণাই ভুল। বৃষ্টির জলে মিশে থাকে বাতাসের ধুলোমাটি, দূষিত কণা, অ্যাসিডিক উপাদান এবং নানা জীবাণু।
এই দূষিত বৃষ্টির জল সরাসরি চুল ও স্ক্যাল্পের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। বৃষ্টির জল চুলে পড়লে প্রথমত, চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। এতে চুলের প্রাকৃতিক তেল ও আর্দ্রতা নষ্ট হয়, ফলে চুল ভেঙে যাওয়া, ডগা ফেটে যাওয়া বা চুল পড়ার প্রবণতা বাড়ে।
এই জলে থাকা জীবাণু ও ছত্রাক স্ক্যাল্পে জমে গিয়ে খুশকি, চুলকানি এবং ছত্রাকজনিত সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। অনেক সময় চুল আঁচড়াতে গিয়ে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায় এবং ফলস্বরূপ অতিরিক্ত হারে চুল ঝরে পড়ে।
বৃষ্টির জলে চুল ভিজে গেলে তা মোটেই অবহেলা করার মতো নয়। কিছু সঠিক পদক্ষেপ অবলম্বন করলে এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কী করবেন?
চুল ভিজে গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধুয়ে ফেলুন। হালকা গরম জলে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন। এতে চুলে থাকা দূষিত কণা ও জীবাণু দূর হবে।
শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটি চুলকে আর্দ্রতা ফেরাতে সাহায্য করে ও চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া রোধ করে। চুল শুকাতে গরম হেয়ার ড্রায়ার নয়, বরং তোয়ালে দিয়ে আলতোভাবে মুছে প্রাকৃতিকভাবে শুকাতে দিন।
ভেজা চুল বেশি কোমল হয়। তাই ঘষাঘষি না করে যত্ন নিয়ে মুছুন। বর্ষাকালে চুলের যত্নে তেল ম্যাসাজ গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে অন্তত একবার নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল ম্যাসাজ করে চুলের গোড়াকে মজবুত রাখুন।
চেষ্টা করুন চুলে যাতে বৃষ্টির জল না লাগে। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সুষম খাদ্যগ্রহণ, পর্যাপ্ত জলপান এবং হাসিখুশি থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন স্ট্রেস কিন্তু চুল পড়ার অন্যতম বড় কারণ।