বাথরুমে শৌচকর্মের সময় সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু জানেন এই অভ্যাস আসলেই ‘বদভ্যাস’! ঠিক সিগারেট খাওয়ার মতোই।
নিত্য বাথরুমে ধূমপান করলে জীবনে নেমে আসতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ! বাথরুম সাধারণত ছোট ও বদ্ধ জায়গা, যেখানে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে ও জমে থাকে। এতে ফুসফুসে বেশি মাত্রায় বিষাক্ত রাসায়নিক ঢুকে পড়ে।
পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন না থাকায় বিষাক্ত গ্যাস (যেমন কার্বন মনোক্সাইড) শরীরে ঢুকে শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, এমনকি অজ্ঞান হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ধোঁয়া বের হতে না পারায় ধূমপায়ী নিজেই তার ফেলা ধোঁয়া আবার ইনহেল করে, ফলে ডাবল এক্সপোজার হয় – যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
গিজার বা ইলেকট্রিক হিটার থাকলে আগুন লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বাথরুমে টিস্যু-পেপার, তোয়ালে ইত্যাদি দাহ্য বস্তু থাকতে পারে, যাতে আগুন লেগে গেলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ধোঁয়া ও গন্ধ বাথরুমে দীর্ঘক্ষণ থাকে, ফলে তা ধূমপায়ীদের জীবনে বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে। আর্দ্র পরিবেশে ধোঁয়া ও রাসায়নিক পদার্থ মিলে ফাঙ্গাস তৈরি হতে পারে।
ধোঁয়ার ফলে বাথরুমের দেওয়াল, টাইলস ও পর্দায় দাগ আরও বেড়ে যায়। ফলে তা সহজে ওঠেও না। শেষে তুলতে গেলেও রীতিমতো বেগ পেতে হয়।
সিগারেট খাওয়া কোনওমতেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা বর্জন করাই শ্রেয়। তাতেই মিলবে সুস্থ জীবন।