কে তৈরি করেছিলেন দক্ষিণেশ্বরের মায়ের মূর্তি? জানেন না ৮০ শতাংশ লোকই
credit: Facebook
TV9 Bangla
দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণী। জানবাজারের মাড় বংশের পুত্রবধু লোকমাতা রানি রাসমণী, মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে গঙ্গা তীরে তৈরি করেছিলেন মায়ের বিশাল মন্দির। শশ্মানবাসিনী দেবীর মন্দির তৈরি করতে গিয়ে কম কাঠখর পোড়াতে হয়নি তাঁকে।
আজ সেই দক্ষিণেশ্বরই কালী ভক্তদের অন্যতম প্রিয় স্থান। দেবী এখানে পূজিত হন মা ভবতারিণী রূপে। যদিও লিখিত ভাবে কোথাও ,মায়ের এই নামের উল্লেখ নেই। বরং দক্ষিণেশ্বরের দেবী শ্রী শ্রী জগদেশ্বরী নামে পূজিত হতেন।
তবে ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেব এই পুজোর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি মা কে নাম দিলেন ভবতারিণী। সেই ভাবেই আরাধনা করতেন ঠাকুর। সেই থেকেই দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণী নামে পরিচিত।
এই মন্দিরে দেবীর মূর্তিটি কষ্টিপাথরের তৈরি। ১৮৫৫ সালে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন রানি রাসমনি। কিন্তু মন্দির প্রতিষ্ঠা করব বললেই তো হল না।
মন্দির তৈরির জন্য আগে চাই মাতৃ মূর্তি নির্মাণের। দক্ষিণেশ্বরের এই মন্দির বঙ্গীয় স্থাপত্যশৈলীর বা গৌড়ীয় স্থাপত্যের নবরত্ন ধারায় তৈরি। মন্দির প্রাঙ্গনেই রয়েছে অনেকগুলি ছোট ছোট শিব মন্দিরও।
যে ভবতারিণী মাকে দেখতে সারা বছর ভিড় জমান অগুনতি ভক্তরা, সেই মৃন্ময়ী মূর্তিটি কার তৈরি জানেন? মা ভবতারিণীর মূর্তি কিন্তু কলকাতার কোনও কারিগর তৈরি করেননি।
দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরের মূর্তি নির্মাণ করেছিলেন কাটোয়ার দাঁইহাটের শিল্পী নবীন ভাস্কর। তিনিই রানিমার থেকে মায়ের মূর্তি গড়ার বরাত পান।
বিহারের জামালপুর থেকে কষ্টিপাথর আনা হয়েছিল মাতৃ নির্মাণের জন্য। তাও নিয়ে এসেছিলেন নবীন। এরপর জানবাজারে নির্মাণ করেন নবীন ভাস্কর। তিনটি মূর্তি নির্মাণ করেন তিনি। তৃতীর মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত রয়েছে দক্ষিণেশ্বরে।