হিন্দু ধর্ম মতে গোত্র হল কোনও ব্যাক্তির বংশপরিচয়। জন্মের পরে বাবার গোত্রই তাঁর সন্তানের গোত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। শাস্ত্র মতে সাত ঋষির নাম থেকেই সাত গোত্রের উৎপত্তি।
বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রীর গোত্র দেখে নেন অনেকেই। হিন্দু ধর্ম মতে একই গোত্রের মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ। কিন্তু কেন জানেন? এর কিন্তু ধর্মীয়, সামাজিক এবং বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে।
হিন্দু ধর্মে ভাই-বোনের মধ্যে বিবাহ নিষিদ্ধ। একই গোত্রের লোকেদের একই পূর্বপুরুষ বলে মনে করা হয়। তাই একই গোত্রের মধ্যে বিয়ে হলে তা ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ের সমতুল্য বলে বিবেচিত হবে।
বেশ কিছু ধর্মীয় গ্রন্থে একই গোত্রে বিবাহ নিষিদ্ধ। মনে করা হয়, একই গোত্রের মধ্যে বিয়ে হলে তা ধর্মীয় নিয়ম লঙ্ঘন করে। একই গোত্রে বিয়ে করলে পরিবারে অশান্তি-বিবাদ হয়।
সামাজিক কারণেও একই গোত্রে বিয়ে নিষিদ্ধ। একই গোত্রে বিয়ে হলে সম্পর্কের সম্প্রসারণ হবে না। অন্য গোত্রে বিয়ে সমাজে মানুষের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলে, ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধি করে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে একই গোত্রের মধ্যে বিয়ে হলে, জেনেটিক ডিসঅর্ডারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। একই গোত্রের জিনে নানা মিল থাকতে পারে, ফলে জিনগত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
একই গোত্রের মধ্যে বিয়ে সন্তান উদ্ভাবন শক্তির উপরেও কুপ্রভাব ফেলে। বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই জন্য একই গোত্রে বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়।
একটা সময় বিয়ের আগে গোত্র, কূল, কুষ্ঠী মিলিয়ে বিবাহ ঠিক করার প্রথা ছিল। যদিও আজকাল এই সব নিয়ম বেশি কেউ মানেন না। বিশেষজ্ঞরা বলেন মনের মিলনটাই আসল, সেটা ঠিক থাকলে, বাকি সব কিছু ঠিক থাকে।