অ্যাকনে বা ব্রণ ত্বকের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা। ব্রণ মুখের বিভিন্ন অংশে হতে পারে। তবে সব জায়গায় ব্রণ হওয়ার কারণ এক নয়। নেপথ্যে থাকে আলাদা আলাদা কারণ। বিশেষ করে অনেকের চিবুকে বারবার করে ব্রণ হয়। কেন হয় এমন?
চিবুকে ব্রণর সমস্যা যে কোনও বয়সেই প্রভাব ফেলতে পারে আপনার মুখে। একে অবহেলা করলে মুখে গভীর দাগ বা ছোপ হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। কেন হয়?
চিবুকের ব্রণের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল হরমোন পরিবর্তন। পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যেই থাকে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন। যা অতিরিক্ত তেল (সিবাম) উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। এই তেল ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে ব্রণ সৃষ্টি করে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিকের সময়, গর্ভাবস্থা বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)-এর মতো অবস্থায় হরমোনের ওঠানামা হওয়ার কারণে চিবুকে ব্রণ দেখা দিতে পারে।
অত্যাধিক স্ট্রেস কর্টিসল নামক হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ত্বকে তেল উৎপাদন ও প্রদাহ বৃদ্ধি করে। এর ফলে মুখে বিশেষ করে চিবুক ও চোয়ালের পাশে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
বিশেষ কিছু খাবার, বিশেষত চিনি ও দুগ্ধজাত পণ্যে উচ্চমাত্রার খাবার, হরমোনের মাত্রা ও প্রদাহ বাড়িয়ে ব্রণর কারণ হতে পারে। এই ধরনের খাবার কম খেলে তাঁদের ত্বক তুলনামূলকভাবে পরিষ্কার থাকে।
বারবার মুখে হাত দেওয়া, একই ডিসপোজেবল ফেস মাস্ক বারবার ব্যবহার করা, এবং তৈলাক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করাও চিবুকের ব্রণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
যাঁরা নিয়মিত হেলমেট, বাদ্যযন্ত্রের স্ট্র্যাপ বা মুখোশ ব্যবহার করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে চিবুকের ত্বকে ঘর্ষণ বা ওই অংশে ঘামে জমে ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে 'অ্যাকনে মেকানিকা' নামে এক বিশেষ ধরনের ব্রণ দেখা দিতে পারে। এমন কিছু হলে নিজে ডাক্তারি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল।