হাই তোলা স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। ক্লান্তি, ঘুম, অক্সিজেনের ঘাটতি বা একঘেয়েমি থেকে শরীর নিজেই হাই তোলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে। অনেক সময় দেখা যায়, কেউ কেউ অকারণেই ঘন ঘন বা যখন তখন হাই তুলছেন।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, অতিরিক্ত হাই তোলা হতে পারে ঘুমের ঘাটতি বা অনিদ্রার লক্ষণ। রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি। অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা একঘেয়েমির ফল, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। কিছু ক্ষেত্রে ব্রেন টিউমার, হার্টের সমস্যা বা নার্ভের সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে।
অস্বাভাবিকভাবে বারবার হাই তোলা যদি নিয়মিত হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। আবার জ্যোতিষশাস্ত্র বলে হাই তোলাকে শুধু শারীরিক নয়, আধ্যাত্মিক বা অলৌকিক বিষয় বলেও বিবেচনা করা হয়।
জ্যোতিষমতে হাই তোলাকে শুভ-অশুভ সংকেত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যদি কেউ দিনের বেলাতেও হঠাৎ ঘন ঘন হাই তুলতে থাকে, তবে জ্যোতিষ মতে এটি ক্লান্তি নয়, বরং মনঃসংযোগ ও শক্তির হ্রাসের ইঙ্গিত।
বিশ্বাস, এটি কোনও অশুভ শক্তির প্রভাব বা নজর লাগার লক্ষণও হতে পারে। বিশ্বাস করা হয় হাই তোলার সময় মুখ দিয়ে কোনও অশুভ আত্মাও প্রবেশ করতে পারে আমাদের শরীরে। সেই কারণে তুড়ি মারতে বলা হয়।
বিশ্বাস, হাই তোলার সময় শরীরের নেতিবাচক বা ক্লান্ত শক্তি বাইরে বেরিয়ে যায়। তাই হাই তোলার সময় মুখ ঢেকে রাখা এবং 'ওম নমঃ শিবায়' বা 'ওম' উচ্চারণ করা শুভ বলে ধরা হয়।
জ্যোতিষ মতে, কোনও গ্রহের প্রভাব (বিশেষ করে চন্দ্র বা কেতুর) ভারসাম্য হারালে ঘন ঘন হাই তোলার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই এই সময় মানসিক শান্তি বজায় রাখতে ধ্যান, প্রার্থনা বা মন্ত্রজপ উপকারী হতে পারে।
বিঃ দ্রঃ - এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।