খাবারের পুষ্টিগুণ আমরা সবাই খুব সচেতন থাকি। আবার তেমনই ওষুধের মতোই সব খাবারের একটি মেয়াদ থাকে। সাধারণ সবজি বা রান্না করা খাবারের বিষয়টি আলাদা, সেগুলি খারাপ হলে পচন ধরে।
আবার প্রক্রিয়াজাত খাবারে পচন না ধরলেও তার মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ দেখে নিতে হয়। তবে এমন কিছু খাবার আছে যার কোনও দিন খারাপ হয় না। বরং বছরের পর বছর রেখে খাওয়া যায়!
মধু - মধুতে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ। ত্বক থেকে ঠোঁটের যত্ন নিতে এর জুড়ি মেলা ভার। ঠিক করে রাখলে বছরের পর বছর এর পুষ্টিগুণে কোনও হেরফের হয় না।
ভাত - সঠিক উপায় জানলে ভাত কিনতি অনেক দিন ভাল থাকে। এমন এক কৌটোয় সাদা ভাত রাখুন যেখানে হাওয়া চলাচল করে না। এবার তা ফ্রিজে রেখে দিন। তবে ব্রাউন রাইস কিন্তু রাখা যায় না।
নুন - নুনকে কিন্তু বছরের পর বছর ভাল থাকে। খালি খেয়াল রাখবেন যে পাত্রে নুন রাখছেন তাতে যেন এক কণাও হাওয়া চলাচল না করতে পারে।
চিনি - চিনিও কিন্তু বহু দিন ভাল থাকে। আবার চিনি ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন নেই। এতে চট করে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিও হয় না। তবে জল যেন না লাগে। শুকনো থাকলে তবেই চিনি ভাল থাকে।
শুকনো ডাল জাতীয় খাবার - মুগ ডাল, মুসুর ডাল, রাজমা প্রায় প্রত্যেক রান্নাঘরে পাওয়া যায়। শাক-সবজির মতো ডাল কিন্তু তাড়াতাড়ি খারাপ হয় না। বেশ কয়েক মাস ভাল থাকে।
ওয়াইন - ওয়াইন যত পুরনো হবে ততই ভাল। এমনকি বেশি পুরনো ওয়াইন হলে তার দামও বেশি হয়। ওয়াইনের কোনও মেয়াদ শেষের তারিখও হয় না। তাই বাড়িতে কিনে অনায়াসে এটি কিন্তু বাড়িতে রেখে দিতে পারেন।