হিমোগ্লোবিন এমন এক প্রোটিন যা লোহিত রক্ত কণিকায় (RBC) থাকে। শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন বহন করে নিয়ে যায় এই হিমোগ্লোবিন। শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট, ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হিমোগ্লোবিন কমলে কী হয়?
শরীরের এই অবস্থাকে বলে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা। শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন B12 এবং ভিটামিন C সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রতিবেদনে রইল তেমন কিছু খাবারের হদিশ।
হিমোগ্লোবিন বাড়াতে কী প্রয়োজন?
মুরগির লিভার বা মেটে আয়রনের ভাণ্ডার। এতে প্রচুর পরিমাণে হিম আয়রন থাকে যা শরীর সহজে শোষণ করে। আছে ভিটামিন B12 যা নতুন রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। সপ্তাহে ১–২ বার খাওয়া ভাল। কোলেস্টেরল থাকলে সাবধান!
মুরগির লিভার
প্রোটিন ও আয়রনের ভাল উৎস। ডিমের কুসুমে থাকে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড। এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও ডিমে থাকে ভিটামিন B12। প্রতিদিন ১টি সিদ্ধ বা পোচ ডিম খেতে পারেন।
ডিম
প্রাকৃতিক আয়রন উৎস। পালং শাক, মেথি, কলমি, সর্ষে শাক ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর নন-হিম আয়রন ও ফোলেট। এগুলি রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়ক। অন্তত একবেলা রান্না করা শাক খাওয়া ভাল। ভিটামিন C যুক্ত খাবারের সঙ্গে খেলে আয়রন শোষণ বাড়ে।
সবুজ শাকসবজি
প্রাকৃতিক রক্তবর্ধক হিসাবে পরিচিত। বিটে রয়েছে আয়রন, ফোলেট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি রক্তের গঠন ও বিশুদ্ধকরণে সহায়তা করে। বিটের রস বা সেদ্ধ করে স্যালাড হিসেবে রোজ খেতে পারেন।
বিট
আয়রন ও প্রোটিনে ভরপুর। মসুর ডাল, ছোলা, সয়াবিন, মুগডালে প্রচুর আয়রন, প্রোটিন ও ফাইবার থাকে। কিশমিশ, কাঠবাদাম, চিনাবাদামও হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক বাটি ডাল ও ৪–৫টি বাদাম বা কিশমিশ খাওয়া ভাল
ডাল এবং বাদাম
প্রাকৃতিক শক্তিবর্ধক রূপে পরিচিত। খেজুরে আয়রন ও গ্লুকোজ থাকে, যা রক্তশূন্যতা কমায়। গুড়ও আয়রনের ভাল উৎস। প্রতিদিন ২–৩টি খেজুর খেতে পারেন।