এক বাটি জামেই কমবে ঘাম, এই ছোট ছোট ফলের উপকারিতা জানলে চমকে যাবেন
TV9 Bangla
Credit - Freepik,X
অনেকেই গ্রীষ্মকালে জাম খেতে পছন্দ করেন। এতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান আমাদের স্বাস্থ্য এবং ত্বক উভয়ের জন্যই উপকারী।
গ্রীষ্মকালে এমন খাবার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং ঠান্ডা করতে সহায়তা করে।
গরমকালে পাওয়া ফলের মধ্যে জাম অন্যতম। এটি যদি প্রতিদিন খাওয়া হয়, তাহলে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হবে। পরিমাণে জাম ঠিক কতটা খাওয়া উচিত, বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক।
জামে ভিটামিন সি, বি১২, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এটি খনিজ এবং ফাইবারের একটি ভালো উৎস। তাই নিয়মিত এটি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা ভালো।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ কিরণ গুপ্ত জানান, জামের ঠান্ডা প্রভাব রয়েছে। নিয়মিত এটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে পারে। জামের গ্লাইসেমিক সূচক কম।
জাম খেলে হজমশক্তি উন্নত হয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে জামে অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা আমাদের কোষের জন্য খুবই ভালো।
জাম খেলে রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য হয়। কারণ এটি আয়রনেরও একটি ভালো উৎস। তাই আয়রনের অভাব থাকলে, রক্তের ঘাটতি হলে তা জামের মাধ্যমে পূরণ করা যেতে পারে।
জামে ক্যালোরি কম থাকে। তাই এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই এটি খাওয়ার পর পেট ভরা অনুভব হয় ও অতিরিক্ত খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
জামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে। যা ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন ব্যক্তি দিনে ২০০ গ্রাম অবধি জাম খেতে পারেন।